স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠালেই কি ‘গণধর্ষণ’, ‘খুন’ এর হুমকি জুটবে? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনায় ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে সমাজের একটা অংশের এই মনোভাব, অন্তত তেমনই বললেন বাংলার শিল্পী এবং বিশিষ্টজনদের একটি অংশ। এর বিরুদ্ধে সোমবার পথে নামলেন তাঁরা। কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে নয়। রাজনীতির রং ছাড়াই সোমবার দুপুর ৩টে থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, সুদেষ্ণা রায়, গৌতম ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, সায়নী ঘোষ, সোহিনী সেনগুপ্ত, নুসরত জাহান, দেবলীনা দত্ত, তনুশ্রী চক্রবর্তী, শঙ্কর ভট্টাচার্য, সৌমিত্র রায় থেকে কবি জয় গোস্বামী, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষা ও চিত্রনাট্য লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনেত্রী শুচিস্মিতা চৌধুরী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, মানসী সিংহকেও দেখা যায় মঞ্চে। সশরীরে না থেকেও নিজেদের বক্তব্যের মাধ্যমে হাজির ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীজাত, অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়। ধর্মীয় মেরুকরণ আর নারীদের নিরাপত্তাহীনতা যে মেনে নেবে না বাংলা, সেই বার্তাই সোমবার দিলেন বিশিষ্টরা।