‘হিরোইন নয়, আমি অভিনেত্রী’, বলছেন ঊষসী

বলছেন ঊষসী চক্রবর্তী। তাঁর মুখোমুখি আনন্দ প্লাস বাঙালি মহিলা ফুটবলার কুসুমিতা দাসের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঊষসী। ‘কুসুমিতার গপ্পো’-তে। ছবিটি বহু দিন ধরেই আটকে ছিল। শেষ পর্যন্ত মুক্তির দিন নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু এত সময় লাগল কেন? ঊষসী বললেন, ‘‘আমি যেটুকু শুনেছি, প্রথমে অন্য প্রযোজক ছিলেন। পরে আর এক জন আসেন। দু’জনের মধ্যে কিছু আইনি সমস্যা হয়েছিল বলেই দেরি হল।’’ 

Advertisement

অন্তরা মজুমদার

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০৭
Share:

ঊষসী

অনেক দিন বড় পর্দায় লিড চরিত্রে দেখা যাচ্ছে না ঊষসী চক্রবর্তীকে। কিন্তু তিনি মুষড়ে পড়ার মানুষ নন। বরং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন উইমেনস স্টাডিজ় বিভাগে। ঊষসীর কথায়, ‘‘আমি নিজেকে হিরোইন ভাবি না, অভিনেত্রী ভাবি। আর শুধু অভিনয়টাই তো করি না। লেখালিখি করি, পিএইচডি করছি। তবে কাজের খিদেটা আছে।’’

Advertisement

বাঙালি মহিলা ফুটবলার কুসুমিতা দাসের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঊষসী। ‘কুসুমিতার গপ্পো’-তে। ছবিটি বহু দিন ধরেই আটকে ছিল। শেষ পর্যন্ত মুক্তির দিন নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু এত সময় লাগল কেন? ঊষসী বললেন, ‘‘আমি যেটুকু শুনেছি, প্রথমে অন্য প্রযোজক ছিলেন। পরে আর এক জন আসেন। দু’জনের মধ্যে কিছু আইনি সমস্যা হয়েছিল বলেই দেরি হল।’’

ছবিটা নিয়ে তেমন প্রচার নেই বলে তিনি নাকি ক্ষুণ্ণ? ‘‘আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল প্রচার নিয়ে, তার কিছুই হয়নি। আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। সৃজিত মুখোপাধ্যায় স্বপ্না বর্মণকে নিয়ে স্পোর্টস বায়োপিক করছেন। আমাদেরটা আরও আগেই মুক্তি পেতে পারত!’’ বললেন ঊষসী। তিনি মনে করেন, পরিচালক হৃষীকেশ মণ্ডল আরও উদ্যোগী হতে পারতেন ছবিটি নিয়ে।

Advertisement

ঊষসী এমনিতে ওয়েট লিফ্টিং করেন। কলকাতার একটি চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি সোনাও জিতেছিলেন। তাই নিজের চেহারায় খেলোয়াড়ের গড়ন ফোটাতে আলাদা কিছু করতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু ফুটবলটা শিখতে হয়েছে। ভারতীয় মহিলা ফুটবল টিমের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন কুন্তলা ঘোষ দস্তিদারের কাছে তিন মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

বড় ব্যানারে ছবি না পাওয়ার দুঃখ রয়েছে ঊষসীর মনে। কিন্তু তিনি আশাবাদী। ‘‘হয়তো ডাক পাব কোনও দিন,’’ মন্তব্য তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement