কেন ভেঙে পড়লেন ঋতুপর্ণা? —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার, দোলের সকালে সবাই যখন ব্যস্ত রঙের খেলায়, তখন মনে রঙের লেশমাত্র নেই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। মন তাঁর বড়ই খারাপ। সোমবার রাতে প্রয়াত বাংলাদেশের জনপ্রিয় নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল। দেড় বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ঋতুপর্ণার খুবই কাছের মানুষ ছিলেন বাবুল। তাঁর প্রয়ানের খবর শুনেই মন ভাল নেই নায়িকার। একটা সময় চুটিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
প্রয়াত নৃত্য পরিচালকের ছবি দিয়ে ঋতুপর্ণা লেখেন, “মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। অনেক অনেক ছবি করেছি তোমার সঙ্গে বাবুল। কত গল্প, কত হাসি, দারুণ দারুণ কাজ। তুমি আমায় বলতে ‘ম্যাজিক গার্ল’। বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলে। অনেক লড়াই করলে। এখন তোমার প্রিয় বন্ধু মান্নাভাই-এর কাছে চলে গেলে। কত কাজ করেছি আমরা সবাই। সব স্মৃতি হয়ে গেল। ভাল থেকো যেখানেই থাকো।”
‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘বিক্ষোভ’-সহ বহু ছবিতে নৃত্য পরিচালনা করেছেন তিনি। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘বিক্ষোভ’সহ বহু চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনা করেছেন বাবুল। এ দেশে এসে চিকিৎসাও করিয়েছিলেন। তার পর আবারও ফিরে গিয়েছিলেন নিজের দেশে। সেখানে আচমকাই ২০২২ সালের অক্টোবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। কিন্তু ক্যানসার চিকিৎসার জন্য খরচ অনেক। তাই সেই ব্যয় সামলানো এক প্রকার কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাবুলের পরিবারের কাছে। অবশেষে সোমবার বিকাল ৫.৪৫ নাগাদ ঢাকায় তাঁর সিদ্দিক বাজার বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাবুল।