রাইমা সেন । ছবি: সংগৃহীত।
১০ বছর পর ফের একসঙ্গে তিন বন্ধু। জিৎ, তনুকা এবং রাজ। ২০১৩ সালে এই তিন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল দর্শকের। মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। এর মধ্যে কত কিছু পরির্তন হয়ে গিয়েছে। অনেক হাওয়া বদল হয়েছে। কিন্তু তিন বন্ধু যেন একই রয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার একটি অফিসে চা, ধোকলা, চানাচুরের আড্ডায় সেই আভাসই মিলল। ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন এবং রুদ্রনীল ঘোষ অভিনীত ছবি ‘হাওয়া বদল’। দশ বছর পর এ বার ছবির সিক্যুয়েল তৈরি করছেন পরমব্রত। ‘হাওয়া বদল ২’ নামের এই ছবির মহরতে দেখা গেল তিন বন্ধুকে। সবুজ সালোয়ারে সম্পূর্ণ সাবেকি সাজে দেখা গেল রাইমাকে। প্রথম ছবির পর অনেকটা সময় কেটেছে। কিন্তু রাইমার স্পষ্ট উত্তর, “রুদ্র, পরমের কথা বলতে পারব না। তবে ১০ বছর পরেও আমি একই আছি। আমার কোনও পরিবর্তন হয়নি।”
এই ছবিতে ১৭ বছর বয়সি ছেলের মা রাইমা। ১০ বছর আগে যে বাচ্চাটি তাঁদের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিল সে-ই এখন বড় হয়ে গিয়েছে। নাম কবীর। এখন সে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সাধারণত নায়িকারা পর্দায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে একটু কুণ্ঠাবোধ করেন। রাইমার ক্ষেত্রে কি এমন কোনও ছুঁতমার্গ রয়েছে? আনন্দবাজার অনলাইনকে রাইমা বলেন, “আমার মনে হয় অভিনেতাদের এমন কোনও শর্ত রাখা উচিত নয়। পর্দায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করব না, এ রকম কোনও ভাবনা আমার নেই। চরিত্রের গভীরতা থাকলে আমি অভিনয় করতে রাজি।’’ তবে খুব বেশি বয়সের চরিত্র হলে সে ক্ষেত্রে একটু ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতী অভিনেত্রী। রাইমার কথায়, ‘‘তবে, কবীরকে দেখে ভাবছি আমাদের বয়স বেড়েছে। যদিও আমার মা-বাবার জিনকে ধন্যবাদ যে সেই পরিবর্তন খুব বেশি চোখে পড়ে না।”
শুধু বাংলা নয়, এই মুহূর্তে হিন্দিতেও চুটিয়ে কাজ করছেন অভিনেত্রী। মূলধারার ছবি বা ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করলেও এখনকার নায়িকাদের মতো কোনও রকম গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাতে নারাজ রাইমা। কথা প্রসঙ্গেই উঠে এল সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের কথা। অভিনেত্রী বললেন, “ইদানীং দেখি অনেকেই ঠোঁটে, গালে অনেক কিছু করান। আমি এই সব না করিয়ে ভাল আছি। যাঁরা করান সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। নিজের যা রূপ আছে তা নিয়েই কাজ করে যেতে চাই।” খুব শীঘ্রই ‘হাওয়া বদল ২’-এর শুটিংয়ের জন্য পরমব্রত, রুদ্রনীল এবং রাইমারা লন্ডন পাড়ি দেবেন।