মিষ্টিকে কী উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? ছবি: ফেসবুক।
ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও অভিনেত্রী মিষ্টি সিংহর বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সে দিন তাঁর সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বলতে পারেননি মিষ্টি। এত বৃষ্টির মাঝেও যে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদের বিশেষ দিনে, তাই কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য স্বামী রেমো দাস রায়কে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সাক্ষাতের মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করলেন মিষ্টি এবং তাঁর স্বামী। ইনস্টাগ্রামে সে ছবি পোস্ট করেছেন রেমো। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে মিষ্টি বললেন, “দিদির সঙ্গে সম্পর্ক সেই ‘আঁচল’ সিরিয়াল থেকে। বিয়ের দিন সে ভাবে কথা হয়নি। তাই আমি এবং রেমো দেখা করতে গিয়েছিলাম। গাছের পাকা আম দিয়েছেন আমাদের। জিজ্ঞেস করলেন আমার নতুন কাজ কবে থেকে শুরু হবে। খুব কম সময় ছিলাম। দিদির আশীর্বাদটাই খুব জরুরি।”
এই মুহূর্তে কোনও কাজ করছেন না মিষ্টি। মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত। ইচ্ছে আছে ইউরোপ ঘুরতে যাওয়ার। তবে গেলে মা-বাবাকে নিয়েই ঘুরতে যাবেন তাঁরা। এই মুহূর্তে বাবার বিএড কলেজেই অনেকটা সময় কাটছে অভিনেত্রীর। সেখানে ইতিহাস, এডুকেশন বিষয়টি পড়ান মিষ্টি।
মে মাসের প্রথমে ধুমধাম করে ১৪ বছরের প্রেমিককে বিয়ে করেছেন মিষ্টি। শহরের এক বিলাসবহুল হোটেলে বসেছিল মিষ্টি ও রেমোর বিয়ের আসর। বিয়েতে মিষ্টিকে একটি সোনার হার উপহার দিয়েছেন মমতা। এ ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন নীল-তৃণা, তন্বী থেকে রৌনক, নবনীতা-রাজা থেকে দেবচন্দ্রিমা, চাঁদনি, তিথি বসু-সহ টলিপাড়ার অনেকেই।
মন্ত্রোচ্চারণ নয়, বরং মালাবদল, সিঁদুরদান, সইসাবুদ করে বিয়ে সারেন মিষ্টি। বিয়ের দিনে লাল টুকটুকে লেহঙ্গায় সাজেন অভিনেত্রী। কুন্দনের জড়োয়া হার, মাথাপট্টি, সুবিশাল নথ ছিল মিষ্টির সাজের বিশেষত্ব। স্ত্রীর পোশাকের সঙ্গে মাননাসই শেরওয়ানিতে দেখা যায় রেমোকে। বাঙালি নন, রাজপুত মিষ্টি, তাই সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেই বিয়ের সাজ থেকে নিয়মকানুন সেরেছেন অভিনেত্রী।