মিষ্টি-রেমোর বিয়েতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
গত কয়েক দিন ধরেই ‘আলতা ফড়িং’ খ্যাত অভিনেত্রী মিষ্টি সিংহের বিয়ে নিয়ে সাজ-সাজ রব টেলিপাড়ায়। ধাপে ধাপে মিষ্টির তারকা বন্ধু ও সতীর্থরা আইবুড়ো ভাত খাইয়েছেন। সে সব ছবি ও ভিডিয়ো একে একে মিষ্টি ভাগ করে নিয়েছেন নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায়। ১৮ মে সন্ধ্যায় দীর্ঘ দিনের প্রেমিক রেমোর গলায় মালা দিলেন অভিনেত্রী। সেই নার্সারির বন্ধুর সঙ্গে প্রায় ১৪ বছরের সম্পর্ক। এত দিন যদিও প্রেমিককে অন্তরালেই রেখেছিলেন মিষ্টি। তবে বিয়ের দিন কয়েক আগেই প্রথম বার প্রকাশ্যে আনেন রেমোকে। শহরের এক বিলাসবহুল হোটেলে বসেছিল মিষ্টি ও রেমোর বিয়ের আসর। অভিনেত্রীর জীবনের এই বিশেষ দিনে তাঁকে আশীর্বাদ জানাতে পৌঁছন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি তোলেন রেমো-মিষ্টির সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন নবদম্পতি। পরে নিজের সমাজমাধ্যমে পাতায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান অভিনেত্রী।
মিষ্টির বিয়ে উপলক্ষে বাইপাস সংলগ্ন ওই বিলাসবহুল হোটেলে যেন চাঁদের হাট। একে একে টেলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এসেছেন মিষ্টির বিয়েতে। নীল-তৃণা, তন্বী থেকে রৌনক, নবনীতা-রাজা থেকে দেবচন্দ্রিমা, চাঁদনি, তিথি বসু, মধুপ্রিয়া— টেলিপাড়ার কে নেই। মন্ত্রোচ্চারণ নয়, বরং মালাবদল, সিঁদুরদান, সইসাবুদ করে বিয়ে সারেন মিষ্টি। বিয়ের দিনে লাল টুকটুকে লেহঙ্গায় সাজেন অভিনেত্রী। কুন্দনের জড়োয়া হার, মাথাপট্টি, সুবিশাল নথ ছিল মিষ্টির সাজের বিশেষত্ব। স্ত্রীর পোশাকের সঙ্গে মাননাসই শেরওয়ানিতে দেখা যায় রেমোকে। বাঙালি নন, রাজপুত মিষ্টি, তাই সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেই বিয়ের সাজ থেকে নিয়মকানুন করেছেন অভিনেত্রী।
‘আলতা ফড়িং’ ছাড়াও ‘আঁচল’-সহ একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এখনই কোনও সিরিয়ালে দেখা যাবে না তাঁকে। বিয়ের পর দিন কয়েকের বিরতি, তার পরই কাজে ফিরবেন মিষ্টি, এমনটাই পরিকল্পনা তাঁর।