আমির-কন্যা আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো মুম্বইয়ে ঘুরলেন অটোরিকশায়। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মদিনের বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে মায়ানগরীর বুকে দেখা গেল ইরা খানকে। শুধু যে দেখা গেল তা-ই নয়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে হইচই ফেলে দিলেন আমির খানের কন্যা। সোজা চড়ে বসলেন অটোয়। তার পর ছবির পর ছবি, চর্চায় উপচে উঠছে নেটদুনিয়া। তারকাসন্তান হয়ে এমন সাধারণ যানবাহনে কেন তিনি? অনেকেই অবাক হলেন।
তারকাসন্তানরা সাধারণত বিলাসিতার মধ্যে বড় হন, জীবনযাপনে বৈভবের চিহ্ন বয়ে বেড়ান। সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকেন তাঁরা। এ দিকে আমির-কন্যা আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো মুম্বইয়ে ঘুরলেন অটোরিকশায়। এক বন্ধুও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। অটোর ভিতরে বসা দুই তরুণীর ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ল ইনস্টাগ্রামে।
আলোকচিত্রীদের সতর্ক দৃষ্টি এড়াতে পারেননি ইরা। তবে বিরক্তও হননি। তাঁদের দেখে ইরা হেসেছেন, হাত নেড়েছেন, ধন্যবাদও জানিয়েছেন। গোলাপি-সাদা একটি জামা পরেছিলেন তিনি, জলপাই সবুজ প্যান্ট ছিল পরনে। চোখে ছিল রোদচশমা। একটি বই ছিল হাতে। ইরার বন্ধুর পরনে ছিল সাদা পোশাক। তাঁরা দু’জনে মিলে শহরে ঘুরে বেড়ালেন।
আমির-কন্যার এই আড়ম্বরহীনতা মন ছুঁয়ে গেল অনুরাগীদের। এক জন লিখলেন, “মায়ানগরীর একমাত্র সহজ-সরল তারকাসন্তান।” সেই সঙ্গে জুড়ে দিলেন হাততালির ইমোজি।
অন্য একজন লিখলেন, “কী মিষ্টি আর সহজ মানুষ!” তাঁদের দেখতে সুন্দর লাগছে, এমন প্রশংসাবাক্যও লিখলেন অনেকে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই নিজের ২৫ তম জন্মদিন পেরিয়ে এলেন ইরা। আমির এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের কন্যা তিনি। গত ৮ মে বাড়িতেই জন্মদিন উদ্যাপন করেন ইরা। ইরার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং বন্ধুরা আমন্ত্রিত ছিলেন। আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও এবং তাঁর পুত্র আজাদও এসেছিলেন।
ইরার প্রেমিক নূপুর শিখরে ভাগ করে নিয়েছিলেন ইরার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি। কোনও ক্যাপশন দেননি তিনি, কেবল জুড়ে দিয়েছিলেন হৃদয়চিহ্ন।