(বাঁ দিক থেকে) শুভ্রজিৎ দত্ত, কোয়েল মল্লিক, পরিচালক অরিন্দম শীল এবং অসীম রায়চৌধুরী। — নিজস্ব চিত্র।
গরম, বর্ষা, শীত বছরের যে মরশুমই হোক না কেন আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, জিরাফ দেখার ভিড় লেগেই থাকে৷ আর বাঘ, সিংহ দেখতে গিয়ে যদি প্রিয় নায়িকা বা পরিচালককে দেখে ফেলেন তা হলে তো পোয়াবারো। এমনটা কিন্তু ঘটে যেতেই পারত। কারণ, কয়েক মাস আগে তো এমন সব বন্য পশুদের সঙ্গে শুটিং করছিলেন কোয়েল মল্লিক। নেপথ্যে ছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল। দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাবে ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’। পুজো আসতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস। দু’মাস আগে থেকেই ছবির প্রচার শুরু করে দিলেন পর্দার মিতিন মাসি। এক দিকে কখনও সিংহ গর্জে উঠছে, কখনও ‘ম্যাকাও’ ডেকে উঠছে। পশুপাখিদের মাঝেই শুরু করলেন ছবির প্রচার।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রেক্ষাপটেই তৈরি মিতিন মাসির নতুন গল্প। ১২ অগস্ট ‘বিশ্ব হাতি দিবস’-এ আলিপুর চিড়িয়াখানায় হাতিদের কেক খাইয়ে ছবির পোস্টার লঞ্চ করলেন কোয়েল। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল। সেই ছোটবেলার পর এই প্রথম কলকাতার চিড়িয়াখানায় এলেন কোয়েল। ফলে খুবই উত্তেজিত তিনি৷ বললেন, ‘‘ভাল লাগছে।’’ তাঁর আসা না হলেও ছেলে কবীরকে নিয়ে বাবা নিসপাল সিংহ রানে ঘুরে গিয়েছেন চিড়িয়াখানা থেকে, জানালেন নায়িকা।
‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
কোয়েল বলেন, “এই ছবিটার পোস্টার লঞ্চের জন্য এর থেকে ভাল দিন আর কিছু হতে পারে না। আর জঙ্গলে মিতিন মাসি শুটিং করতে গিয়ে একটা অন্য রকম অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আরও ভাল লাগছে পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে মিতিন। কারণ পুজোয় বাংলা সিনেমা দেখতে যাওয়ার একটা আলাদা উত্তেজনাই কাজ করে মানুষের। আমিও ছোটবেলায় দেখতে যেতাম।”
এই বিশেষ দিনে একেবারে মানানসই সাজপোশাকে ধরা দিলেন পরিচালক অরিন্দম। পরেছিলেন পোলো টিশার্টের উপর সাদা শার্ট। সেই শার্টে আবার ছিল রংবেরঙের হাতি আঁকা। পরিচালকের কথায়, “সিনেমা এমন একটা মাধ্যম যার দ্বারা গম্ভীর বার্তাও খুব সহজে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এই ছবির মাধ্যমেও তেমনই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমরা।” ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাবে একগুচ্ছ বাংলা ছবি। অরিন্দমের মিতিন ছাড়াও রয়েছে দেবের ‘বাঘাযতীন’, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দশম অবতার’, নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘রক্তবীজ’। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, আবীরের সঙ্গে কোয়েলের টক্কর কতটা জমে সেটাই দেখার।