দর্শনা বণিক।
‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন’ থেকে ব্রেক মিলেছে হঠাৎ। মেকআপ ব্রাশে লাস্ট মিনিট টাচ আপের ঝক্কি থেকেও রেহাই মিলেছে বেশ কয়েক দিনের। নেই কলটাইমের টেনশনও। করোনা আতঙ্কের জেরে শুটিং বন্ধ। তাই অভিনেত্রী দর্শনা বণিক আপাতত মজে রয়েছেন নেটফ্লিক্সের সিরিজে। এরই মধ্যে আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে ফোনালাপে মাতলেন তিনি।
প্রথম বার ওপার বাংলার ছবিতে হাতেখড়ি হয়েছে দর্শনার। ছবির নাম ‘অপারেশন সুন্দরবন’। পরিচালক দীপঙ্কর দীপন। শুটসেরে এ মাসেরই দশ তারিখ দেশে ফিরেছেন দর্শনা। নতুন পরিবেশ, অচেনা মানুষজন— কেমন লাগল তাঁর কাজ করে? দর্শনা বললেন, “মনেই হয়নি প্রথম বার। গোটা টিম এত কোঅপারেটিভ। কত বড় বড় অভিনেতা কাজ করেছেন ওই ছবিতে।”দর্শনা ছাড়াও ওই ছবিতে রয়েছেন রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, নুসরত ফারিয়া, তাসকিন রহমান, জিয়াউল রোশন-সহ আরও অনেকে। রোশনের বিপরীতে রয়েছেন দর্শনা। আর সিয়াম আহমেদের বিপরীতে দেখা যাবে নুসরত ফারিয়াকে।
নাম শুনেই আন্দাজ করা যায় সুন্দরবন নিয়েই ছবি। একসময় সুন্দরবনের ভয়ঙ্কর জলদস্যুদের হাড়হিম করা আখ্যানের কথা তো অনেকেরই জানা। সুন্দরবন থেকে জলদস্যু মুক্ত করার অভিযান নিয়ে প্লট এগোবে এই ছবির। সঙ্গে জুড়বে সাব প্লট। আর এমনই এক সাব প্লটের অংশ দর্শনা। তাঁর চরিত্রের নাম অদিতি। পেশায় ডাক্তার। জলদস্যু মুক্ত করার অভিযানে তিনিও কী ভাবে জুড়ে যান, চমক সেখানেই। দর্শনার গলায় উচ্ছ্বাস, “বাংলাদেশে আগে এত হাই-বাজেট ছবি হয়নি। সব সময় দু’টো হেলিকপ্টার সেটে থাকত। স্পিডবোট, জাহাজ, কী নেই! একজন বলছিলেন কলকাতাতেও হয়তো এত বড় বাজেটের ছবি হয়নি। সেটা ঠিক জানা নেই, তবে সত্যিই বিরাট ব্যবস্থা।”
আরও পড়ুন-আমার করোনা ডায়েরি: মিমি
খুলনাতেই প্রথম সেখানকার ‘সিগনেচার ডিশ’ চেখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে দর্শনার। নাম ‘চুই ঝাল’
সুন্দরবন মানেই এক অজানা অনিশ্চয়তা। তার মতিগতি বোঝার সাধ্য কার? কখনও জোয়ারের জল ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে আবার কখনও বা অন্য কোনও বিপত্তি। প্রতিকূল পরিবেশেও শুটিং চালিয়ে যেতে হয়েছে একনাগাড়ে। অনেক রহস্য গল্পের উৎস বিখ্যাত মেহের আলি চর, ডিমের চর, শুটিং হয়েছে সে সব জায়গাতেও। তবে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মন্দ লাগেনি দর্শনার। আর উপরি পাওনা হিসেবে কাজ করতে পেরেছেন ও দেশের বেশ কিছু নামজাদা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। বললেন, “এহসান ভাই, দিপুদা, মনোজদার মতো বড় বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”
আরও পড়ুন-‘আলাদা থেকেই লড়ব’, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরলেন সৃজিত-প্রসেনজিৎ
খুলনাতেই প্রথম সেখানকার ‘সিগনেচার ডিশ’ চেখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে দর্শনার। নাম ‘চুই ঝাল’। রাত ১২টার সময় তাঁকে সেই ডিশ খাইয়েছিলেন বাংলাদেশের অভিনেতা দিপু ইমান। “রাত ১২টা বেজে গিয়েছিল একদিন প্যাকআপ হতে হতে। এমন সময় দিপুদা আমার জন্য ওই চুই ঝাল নিয়ে আসে। চুই পাতা দিয়ে রান্না করা ঝাল ঝাল একটা আইটেম। মাটন চুই ঝাল খেয়েছিলাম। কী ভাল খেতে। মুখে লেগে আছে। খুলনা গেলে সবাই কিন্তু এক বার ওই পদটা টেস্ট করে দেখবেন।”
ছবির দুই পর্বের শুটিং শেষ। বাকি এখনও গানের কিছু শট। তবে আপাতত শুটিং বন্ধ রয়েছে। শোনা যাচ্ছে কুরবানি ইদেই মুক্তি পাবে ‘অপারেশন সুন্দরবন’, দর্শনার প্রথম ঢালিব্রেক।