শুধু ইতিবাচক চরিত্র নয়, নেতিবাচক চরিত্রেও অভিনয় করতে চান সৌমি পাল। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
‘শুভ বিবাহ’, ‘কে আপন কে পর’, ‘কৃষ্ণকলি’— প্রতিটি ধারাবাহিকেই তাঁকে দর্শক দেখেছেন মিষ্টি চরিত্রে। দেখতে ছোটখাটো, মুখের গড়নও লক্ষ্মী প্রতিমার মতো। তাই পরিচালকরা তাঁকে দুষ্টু চরিত্র দিতেই চাইতেন না। এমনটাই আক্ষেপ ছিল অভিনেত্রী সৌমি পালের। না, সেই আক্ষেপ আর নেই। আকাশ আটের ধারাবাহিক ‘কাঞ্চি’র হাত ধরে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সৌমির।
কিছু দিন হল শুটিং শেষ হয়েছে ‘কাঞ্চি’র। এই ধারাবাহিকে প্রথম বার নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান অভিনেত্রী। আর তাতেই বেজায় খুশি তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে সৌমি বলেন, “আমি কিছুতেই বোঝাতে পারি না, মিষ্টি মুখের পিছনেই লুকিয়ে থাকে দুষ্টু বুদ্ধি। ইন্ডাস্ট্রিতে একটা বদ্ধমূল ধারণা, চেহারার ছোটখাটো গড়ন মানেই সে সব সময় ভাল মানুষই হবেই। এই ভাবনাচিন্তা এখনও দূর হল না। তবে এই ধারাবাহিকের পর এখন আবার নেগেটিভ চরিত্রে অনেকগুলো সুযোগ আসছে। তাতেই আমি খুশি।”
‘কাঞ্চি’ শেষের পর এখন ‘গোধূলি আলাপ’ ধারাবাহিকে তাঁকে দেখছেন দর্শক। এখানেও অবশ্য তিনি খলনায়িকা। পরিচালকদের কাছে তাই অভিনেত্রীর একটাই আর্জি, চেহারার গড়ন দেখে নয়, অভিনয় দক্ষতা দেখে যেন চরিত্র ভাবেন তাঁরা। তবেই অভিনেতাদের কাজের মান উন্নত হবে।