দূরে ঠেলে দেওয়ার মধ্যেই কি নৈকট্যের অভ্যাস? মাকে আজও আবিষ্কার করে চলেন ঋদ্ধি। ছবি—ফেসবুক
সন্তানের বয়স যতই হোক, শাসনের রাশ কিন্তু মায়েরই হাতে। মায়ের বকুনি যেমন বড় হওয়ার অংশ, তেমনই মায়ের আদর সন্তানের জীবনে আশীর্বাদ স্বরূপ। মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের সমীকরণ কোনও নিক্তিতে মাপা যায় কি? ১৪ মে, বিশ্ব মাতৃদিবসে মাকে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অভিনেতা ঋদ্ধি সেনের।
মা রেশমি সেনকে মূর্তিমতী দ্বন্দ্ব মনে করেন ঋদ্ধি। কখনও তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়, আবার কখনও তিনিই প্রিয় বন্ধু। দূরে ঠেলে দেওয়ার মধ্যেই কি নৈকট্যের অভ্যাস? মাকে আজও আবিষ্কার করে চলেন ঋদ্ধি। সমাজমাধ্যমে মায়ের সঙ্গে দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা, যেগুলির মধ্যে সময়ের ব্যবধান ২০ বছরেরও বেশি। যার মধ্যে একটিতে পাঞ্জাবি পরা একরত্তি ঋদ্ধি রেশমির কোলে। অন্য ছবিতে মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে যুবক বয়সের সাম্প্রতিক ছবি ঋদ্ধির। এতখানি সময় ধরে মাকে কী ভাবে দেখেছেন ঋদ্ধি?
তাঁর কথায়, “আর একটু দূরে ঠেলে দেওয়া আর একটু কাছে চলে আসার এই রোজকার অভ্যেস একজনের সাথেই গড়ে ওঠে, যার জন্য দ্বন্দ্ব চিনতে শিখে, অনুভব করা, পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দ্বন্দ্বের নাম হয়তো মা।”
তথাকথিত দুষ্টু ছেলে ছিলেন না ঋদ্ধি। তবু ছোট থেকেই মায়ের কড়া শাসনে বড় হয়েছেন। মায়ের হাতে দুমদাম মার খাওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। তবে রোজকার জীবনে ঠাট্টা, ইয়ার্কির সঙ্গী থেকে শুরু করে মুশকিল আসান, সর্বঘটেই দশভুজা মা। আনন্দবাজার অনলাইনকে এক সাক্ষাৎকারে ‘বিসমিল্লাহ’র অভিনেতা বলেন, “নারীরা কতটা ক্ষমতাশালী তা মাকে দেখে বুঝেছি। মা পারে না এমন কোনও কাজ নেই। পড়াশোনা, অভিনয়ে মা যেমন পারদর্শী, তেমনই সংসার সামলায় দক্ষ হাতে। খুব ভাল রান্না করে আমার মা। মায়ের হাতের রান্না খাওয়ার অপেক্ষায় থাকি। তেমনই অপেক্ষায় থাকি আড্ডার।”
মাতৃদিবসে মায়ের সঙ্গে বহুমাত্রিক সখ্য প্রকাশ করতে ঋদ্ধি বেছে নিয়েছেন অঞ্জন দত্তের বহুশ্রুত এবং জনপ্রিয় এক প্রেমের গান, “তুমি না থাকলে সকালটা এত মিষ্টি হত না...”।
মঞ্চ এবং পর্দা, উভয় ক্ষেত্রেই সাফল্যের মুখ দেখছেন ঋদ্ধি মাত্র ২৪ বছর বয়সে। বর্তমানে পারিবারিক নাট্যদল 'স্বপ্নসন্ধানী'র নাট্যোৎসবের মহড়া নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে। সঙ্গে চলছে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একটি ছবির কাজ। সেখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে রেশমি এবং কৌশিক সেনের পুত্রকে।