রণজয় বিষ্ণু। ছবি: সংগৃহীত।
বর্তমান প্রজন্মের তরুণ অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম রণজয় বিষ্ণু। এই মুহূর্তে 'কোন গোপনে মন ভেসেছে’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন তিনি। ২২ মার্চ তাঁর জন্মদিন। গত কয়েক মাস ধরেই রণজয়ের সঙ্গে শ্যামৌপ্তি মুদলির প্রেমের গুঞ্জন। যদিও অভিনেতা বিষয়টিকে গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। সকাল থেকে প্রচুর শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন। জন্মদিনে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্যামৌপ্তিও। কিন্তু অভিনেতার প্রাক্তন সোহিনী সরকার কি সৌজন্যের সম্পর্ক রেখেছেন রণজয়ের সঙ্গে?
রণজয়-সোহিনী। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝে কয়েকটা দিন বেশ অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা। তা বলে কাজে ফাঁকি দিয়েছেন, তেমন নয়। শরীর যেমনই হোক, তা নিয়েই চালিয়ে গিয়েছেন শুটিং। জন্মদিনেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। সকাল থেকে শুটিং, দুপুরে দিদির বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া। রাতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতেই পার্টি। স্টুডিয়োতে শেষ শটটা দেওয়ার আগে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন রণজয়। জানালেন জন্মদিনের পরিকল্পনা। রণজয় বললেন, ‘‘সকাল থেকে শুটিং করছি। তবে, আজ তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাব। কারণ, গত দশ বছরে প্রথম বার আমার দিদি কলকাতায়। তাই সেখানেই মধ্যাহ্নভোজন হবে। রাতে পরিচালক তথাগত, এ ছাড়াও অভিনেতা অম্বরীশ ও সায়নীরা আসবে আমার বাড়িতে। আরও কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব আসবে, ব্যস্।’’ কিন্তু এই পার্টিতে কি শ্যা্মৌপ্তি কি আসছেন? উত্তরে অভিনেতা সলজ্জ হেসে জানান, সে বিষয়ে তিনি জানেন না। রণজয়ের কথায়, ‘‘আমার বন্ধুরা আসবে, বাকি জানি না। কথা হয়নি। তবে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছে, যেমন আরও অনেকে পাঠিয়েছেন।’’ অভিনেতার জন্মদিনে শ্যামৌপ্তি নিমন্ত্রিত কি না, তা নিয়ে খানিক আমতা আমতা করলেন অভিনেতা।
অন্য দিকে, একটা লম্বা সময় সোহিনী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা। যদিও এখন গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী, এমনটাই গুঞ্জন। রণজয়ের দাবি, তিনি এখনও ‘সিঙ্গল’। কিন্তু তাঁদের মধ্যে সৌজন্যের সম্পর্ক কি আছে? প্রাক্তন প্রেমিকের জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন কি সোহিনী? রণজয়ের কথায়, ‘‘না, আমাকে শুভেচ্ছাবার্তা দেননি। শুভেচ্ছাবার্তা আসুক, চাই না।’’
কিন্তু, জন্মদিনের হইহুল্লোড়ের মাঝে বার বার মনে পড়ছে মাকে। বেশ কিছু দিন হল, অভিনেতা তাঁর মাকে হারিয়েছেন। রণজয়ের কথায়, ‘‘এই দিনটা এলেই বড্ড বেশি মনে পড়ে মায়ের কথা। খুব মিস্ করি মাকে বিশেষ দিনগুলোতে। আমি আসলে মাছ-মাংসের তুলনায় মায়ের হাতের থোড়, মোচা, এগুলো খেতে বেশি ভালবাসতাম।’’