রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণত পুজোর আগে কোনও ছবি বা ওয়েব সিরিজ়ের প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে চান না নির্মাতারা। কলাকুশলীরাও শত ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা করেন নতুন কাজকে যতটা বেশি সম্ভব দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু সোমবার সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ব্যোমকেশ ওয়েব সিরিজ় ‘দুর্গ রহস্য’-এর প্রচার অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই অভিনেতার অনুপস্থিতি নিয়ে টলিপাড়ায় প্রশ্ন ওঠে।
সোমবার রাহুলের অনুপস্থিতিকে ঘিরে একাধিক মত শোনা গিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির একাংশের মতে, কাজের প্রতি মনোযোগী নন বলেই নাকি রাহুল এ রকম করেছেন। আবার কেউ কেউ এর নেপথ্যে অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনকেও দায়ী করেছেন। কিন্তু সত্য কী? জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অভিনেতা জানান, পুজোর আগে সিরিয়ালের এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের চাপ থাকার কারণেই তিনি অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। কিন্তু নিন্দকরা যে নানা কথা বলছেন! রাহুল বললেন, ‘‘‘দুর্গ রহস্য’ কিন্তু আমার জীবনের দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। অনির্বাণ আমার থেকে বয়সে ছোট হলেও ওর সঙ্গে কাজ করা আমার কাছে একটা শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। তা ছাড়া, সৃজিত অজিত চরিত্রটা এত সুন্দর লিখেছে যে, খুবই তৃপ্তি পেয়েছি। আমার না যাওয়ার পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।’’
উল্লেখ্য, সোমবার ছিল রাহুলের জন্মদিন। তাই শুটিংয়ের পরদিনটা পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন অভিনেতা। এই মুহূর্তে দর্শক রাহুলকে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ সিরিয়ালে দেখছেন। অভিনেতা বললেন, ‘‘সেটে কেক কাটা হল, খাওয়াদাওয়া হল। সকলে মিলে খুব ভাল সময় কাটল।’’ প্যাক আপের পর বাড়িতে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা সরকার এবং ছেলে সহজ। অভিনেতা বললেন, ‘‘আমার মা এবং দিদা, সকলে মিলে একটা বড় জমায়েত হল।’’ পাশাপাশি ছিল দেদার খাওয়াদাওয়া। রাহুলের দিদার বয়স ৯০ বছর। কিন্তু নাতির জন্মদিন উপলক্ষে যত্ন করে বানিয়েছিলেন বিউলির ডালের রসবড়া। আর মেনুতে ছিল চাইনিজ়। রাহুল বললেন, ‘‘সন্ধ্যায় সহজের সঙ্গে দাবাও খেলেছি। চার প্রজন্ম এক সঙ্গে মিলিত হয়ে জন্মদিনটা ভালই কেটেছে।’’
সোমবারের ঘটনা প্রসঙ্গে একটু পিছিয়ে যাওয়া যাক। দেব অভিনীত ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রির ঐক্যের বার্তা দিতে সৃজিত তাঁর টিম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না রাহুল। এ দিকে গত জানুয়ারি মাসে ব্যোমকেশ চরিত্রে দেব তাঁর আবির্ভাব ঘোষণা করতেই সমাজমাধ্যমে অভিনেতাকে কটাক্ষ করেন রাহুল। তিনি লেখেন, ‘‘খুশবন্ত সিংহের জোক: দু’জন পঞ্জাবি দাবা খেলছে। বাঙালির জোক: দেব ব্যোমকেশ।’’ রাহুলের এই মন্তব্যে টলিপাড়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। যদি দেব এই প্রসঙ্গে বরাবরই চুপ থেকেছেন। এ বারে তো কাজের ব্যস্ততা ছিল। কিন্তু দেবের ব্যোমকেশের সময় কেন উপস্থিত হননি তিনি? রাহুল বললেন, ‘‘আমি যে হেতু নিজেই দেবের ব্যোমকেশ করার বিরোধিতা করেছিলাম। সেখানে আমাদের দু’জনের এক মঞ্চে উপস্থিত থাকাটা চূড়ান্ত অস্বস্তি তৈরি করত।’’