নবনীতা-জীতু। —ফাইল চিত্র।
শেষ কয়েক মাসে জীতু কমলের সমাজমাধ্যমের পোস্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক ধরনের আলোচনা। বিশেষত স্ত্রী নবনীতা দাসের সঙ্গে নায়কের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আরও বেশি আগ্রহ বেড়েছে দর্শকের। তাই অভিনেতা যেমনই পোস্ট করুন না কেন তার সঙ্গে নবনীতার যোগসূত্র বার করার চেষ্টা করেন সবাই। যদিও এই বিষয়গুলোকে নায়ক যে খুব বেশি গুরুত্ব দেন তেমনটা নয়। বরং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতেও রাজি নন জীতু। এ বছরটা অনেক কিছু পাল্টে দিয়েছে তাঁর। আর কয়েকটা সপ্তাহ পরেই দুর্গাপুজো। এ বছরের পুজোও নিশ্চয়ই অন্য ভাবেই কাটবে তাঁর? আনন্দবাজার অনলাইনকে তো কয়েক দিন আগে নবনীতা জানিয়েছিলেন তাঁর অনেক কথাই মনে পড়বে। কিছুটা আক্ষেপই ছিল নায়িকার কণ্ঠে। জীতুরও কি পুরনো কথা মনে পড়বে?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় জীতুর সঙ্গে। নবনীতার প্রসঙ্গ এড়িয়ে নায়ক বললেন, “আমার ছোটবেলা থেকে যেমন ভাবে পুজো কাটে এ বারেও তাই কাটবে। কখনও মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতাম না। সোদপুরে আমার যে পাড়া সেখানেই পুজোর চারটে দিন কাটাই। ছোটবেলার বন্ধুরা থাকে। এখন তো সবাই শহরের বাইরে থাকে। এই সময়টাই সবাই একত্রিত হই। এ বারেও তার অন্যথা হবে না। আর পুজোতে খাওয়াদাওয়া তো আছেই। সব খাই, ফুচকা থেকে বিরিয়ানি— সব।” তবে অন্য অভিনেতাদের মতো জীতুও পুজোয় নিজের জন্য বিশেষ কিছু কেনাকাটা করেন না। তবে এ বছর তাঁর ভাইয়ের নতুন বিয়ে হয়েছে। তাই ভাইয়ের বৌ কিছু একটা উপহার তাঁকে দেবেনই। পছন্দের ঘড়ি বা অন্য কিছু চেয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু পরিবারের সবাইকে পুজোর উপহার দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জীতু বলেন, “যা লাগবে আমি দিয়ে দিই। বাকি সবটাই মায়ের দায়িত্ব।” এত কিছুর ফাঁকে নবনীতা সম্পর্কে একটা শব্দও বলেননি অভিনেতা।
তবে পুজোর পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে নায়িকা জানিয়েছিলেন, এ বছর জীতুর সঙ্গে অঞ্জলি এবং সিঁদুরখেলা দুটোই খুব মিস করবেন তিনি। এ বার পুজোয় শহরে হয়তো থাকবেন না নবনীতা।