অঙ্কুশ হাজরা। ছবি: ফেসবুক।
ছবি ঘোষণার পর থেকেই একাধিক বার দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কখনও তা সহ-প্রযোজককে ঘিরে, কখনও আবার ছবির ভবিষ্যৎকে ঘিরে। কিন্তু সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে ‘মির্জা’ ছবিটির তোড়জোড় করে যাচ্ছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। অবশেষে খুশির খবর। মঙ্গলবার থেকে শহরে ছবির শুটিং শুরু করলেন অভিনেতা।
নিজের প্রযোজনা সংস্থার অধীনে এটাই অঙ্কুশের প্রথম ছবি হতে চলেছে। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রথম দিনের শুটিংয়ের কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা-প্রযোজক। শুধু তাই নয়, অঙ্কুশের এই নতুন সফরে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার প্রথম সারির কয়েক জন প্রযোজক। ছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা, অতনু রায়চৌধুরী এবং অশোক ধানুকা। মনের মধ্যে কী চলছে তাঁর? আনন্দবাজার অনলাইনকে অঙ্কুশ বললেন, ‘‘এই ছবিটার সঙ্গে অনেক দিনের লড়াই, পরিশ্রম জুড়ে রয়েছে। সত্যি বলছি, আমার উপলব্ধি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’’
এই মুহূর্তে বাংলা ছবির ব্যবসা নিয়ে ক্রমাগত চর্চা চলছেই। সেখানে প্রযোজনায় আসা কতটা সুরক্ষিত পদক্ষেপ? অঙ্কুশ বললেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রির যা অবস্থা, সেখানে সিংহভাগ মানুষ আমাকে বলেছিলেন যে, প্রযোজনায় এসে ভুল করেছি। সত্যিই হয়তো অভিনয় করে শুধুই নিজের পারিশ্রমিক বুঝে নিতে পারতাম।’’ কিন্তু, অঙ্কুশ সহজ পথে হাঁটতে খুব একটা পছন্দ করেন না। বললেন, ‘‘কিন্তু আমি চেয়েছিলাম, স্বাধীন ভাবে কখনও ছবি তৈরির ইচ্ছে হলে যেন একটা পথ খোলা থাকে। এই ভাবনা থেকেই আমার প্রযোজনায় আসা।’’
বৃহস্পতিবার থেকে ওড়িশায় ছবির আউটডোর শুরু হবে। তার পর কলকাতা এবং মন্দারমণি মিলিয়ে ছবির শুটিং সারবে ইউনিট। ছবিতে অঙ্কুশের বিপরীতে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা সেন। মুসকান নামে এক জন মাছ বিক্রেতার চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। ঐন্দ্রিলা যে এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ, তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অঙ্কুশ। বললেন, ‘‘খুব ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র। ওঁর অভিনয় ক্ষমতাকে মাথায় রেখেই এই চরিত্রে ওকে নির্বাচন করেছি।’’