দেবপর্ণা চক্রবর্তী।
আশীর্বাদটা সেরেই ফেললেন তবে? কনগ্র্যাচুলেসন্স!
(হাসি) হ্যাঁ, সেরেই ফেললাম। অনেক ধন্যবাদ।
ফাইনাল ম্যাচ কবে?
এই তো,জানুয়ারির ৩০ তারিখ।
কতটা এক্সসাইটেড ‘সুধা’?
(গলা উচ্ছ্বাসে ভরপুর) এক্সসাইটেড তো বটেই। বিয়ে নিয়ে সবারই একটা স্পেশাল প্ল্যানিং থাকে। কী রকম সাজব, কী পরব...
নার্ভাস লাগছে না?
নার্ভাস ঠিক লাগছে না, জীবনে একটা নতুন পর্ব শুরু হতে চলেছে। যখন প্রথম বার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখনও ভয় লেগেছিল। কিন্তু এটা তো রিল লাইফ নয়, রিয়েল। তাই সব কিছু আমার হাতে, আমার মতো করে উপভোগ করতে পারব।
আরও পড়ুন-জামিয়া কান্ডের প্রতিবাদ, মেয়েকে জড়িয়ে মহেশ ভট্টকে কদর্য মন্তব্য কঙ্গনার দিদির
বিয়ে করে ফেলছেন, ‘ক্রেজ’ কমে যাওয়ার চাপ লাগছে না?
আমি তো নায়িকা নই। আমি অভিনেত্রী। যে ভালবাসা পেয়েছি সেটা অভিনয় দিয়ে। তাই আমার এ বিষয়ে খুব একটা চাপ নেই। তা ছাড়া আমি কাজের ব্যাপারে বরাবরই খুব চুজি। আর সত্যি কথা বলতে কি, বিয়ের পর আমার অন্য প্ল্যানিংও রয়েছে।
কী রকম?
কেরিয়ারটাকে একটু অন্য ভাবে দেখতে চাই।
হবু বরের সঙ্গে দেবপর্ণা: নিজস্ব চিত্র
সে কি? অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার প্ল্যানিং রয়েছে না কি?
(হাসি) সেটা এখনই বলা যাবে না। ডিপেন্ড করবে। এভাবে ছাড়তে চাইনা, যেখানে লোকে বলবে যে আরকাজ পাচ্ছে না, তাই করছে না। যদি আমি মনে করি আমার দর্শককে কিছুই দেওয়ার নেই, আই ওন্ট মাইন্ড টু কুইট মাই প্রফেশন।
বেশ, একটা কথা বলুন তো, রাজনীতিতে নামছেন?
(আবারও হাসি) আরে নানা, সে সব কিছু নয়। একেবারেই ‘আউট অব দ্য বক্স’।
একটু হিন্টস তো দেওয়া যেতেই পারে...
দেখুন, এখনও পর্যন্ত লোকের ভালবাসা কিন্তু আমি অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই পেয়ে এসেছি। এবার একজন মানুষ হিসেবে চাই মানুষের কাছে পৌঁছতে। একটা ফেজের পর আমি সব সময় ভেবেছি প্ল্যান ‘এ’ থাকলে প্ল্যান ‘বি’-ও থাকা দরকার।
আপনি কি খুব স্কিম করে চলেন?
হ্যাঁ, কিছুটা তো বটেই। আমার মনে হয়, প্রথম প্ল্যান ফেল করলে অবশ্যই দ্বিতীয় প্ল্যান তৈরি করে রাখা উচিত। অভিনয়টা ইতিমধ্যেই এক্সপ্লোর করে ফেলেছি। এ বার একটু অন্য কিছু বাছব।
আরও পড়ুন-মেয়ের শেষকৃত্যে আসেননি মৌসুমি, প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানালেন জামাই ডিকি সিংহ
আড়িয়াদহ থেকে উঠে আসা একটি মেয়ে আজ সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। জার্নিটা কেমন?
আমি ইন্ডাস্ট্রিতে যখন এসেছিলাম তখন আমার ১২/১৩ হবে। কিছুই চিনতাম না। কোথায় স্টুডিয়ো, কী ভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়...ছবি জমা দিয়েছি, ডাক এসেছে। সেখান থেকে আস্তে আস্তে একের পর এক সিরিয়াল-সিনেমা। কী করব বলুন, কাজ দেখিয়ে কাজ পাওয়া ছাড়া তো আর কোনও অপশন ছিল না।
এ বার একটু বিয়ের প্রসঙ্গে আসি...হবু বরের সঙ্গে প্রেমটা কী ভাবে হল?
ও পারফেকশনিস্ট। সেটাই ওকে ভাল লাগার অন্যতম কারণ।
বিয়ের ভেনু কোথায় ঠিক করলেন?
বিয়ে হচ্ছে ‘সার্কেল ক্লাব’-এ আর বউভাত ‘স্বভূমি’তে।
কেনাকাটা শেষ?
চলছে। আশীর্বাদের কেনাকাটা নিয়ে এতদিন ব্যস্ত ছিলাম। এ বার বিয়েরটা শুরু করেছি।
ট্র্যাডিশনাল সাজই কি থাকবে বিয়েতে?
হ্যাঁ। পিওর ট্র্যাডিশনাল। শুদ্ধ বাঙালি মতেই হবে বিয়ে। ডেকরেশন, সাজ— সব ক্ষেত্রেই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। সাজব লাল বেনারসীতে। সঙ্গে মানানসই গয়না। আর রিসেপশনে ঠিক করেছি লেহেঙ্গা পরব।