ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেনমেন্ট বা ডব্লিউ ডব্লিউ ই। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই কুস্তির আখড়া নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। তবে নামেই ‘রেসলিং’। রক, আন্ডারটেকারদের লড়াইয়ে অবশ্য কুস্তির চিহ্নমাত্র থাকে না। রিংয়ের এই পালোয়ানদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ফ্যানেদের আগ্রহ যথেষ্ট। একেকজনের রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়িও।
জন সিনা-গাড়ির প্রতি তীব্র ঝোঁক জন সিনার। পুরনো গাড়ি সংগ্রহ করতেও খুব ভালবাসেন। ১৯৬৯ সালের শেভ্রোলের কামারো মডেলটি এখনও রয়েছে সিনার গ্যারেজে। এ ছাড়াও প্লাইমাউথ সুপারব্রিড, ডজ চার্জার ছাড়াও ওল্ডসমোবাইল ক্যাটল্যাস র্যালায়ে ৩৫০ এই সব গাড়িগুলিও রয়েছে সিনার কাছে।
জন সিনা-নতুন মডেলের গাড়িও সঙ্গে রাখতে ভালবাসেন সিনা। সংগ্রহে রোসল রয়েস ফ্যান্টম তো রয়েইছে। রয়েছে বেন্টলে কন্টিনেন্টাল জিটি সুপারস্পোর্টস। এছাড়াও ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার অটোবায়োগ্রাফিও ব্যবহার করেন জন সিনা।
রক-বহু আগেই ডব্লিউ ডব্লিউ ই-তে দর্শকের মন জিতে ফেলেছিলেন রক। এখন হলিউডেও সমান কদর রক থুরি ডয়েন জনসনের। একটা ফোর্ড এফ ১৫০ রয়েছে রকের গ্যারেজে। আর সাধের এই গাড়িটিকে আদর করে রক ডাকেন ব্ল্যাক গরিলা বলে। একটি ক্যাডিল্যাক এসক্যালেডও রয়েছে রকের। কালো রঙের একটি রোলস রয়েস রেথও রয়েছে এই অভিনেতার।
স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিন- রিংয়ের ভিতরে বরাবরই বাজিমাত করে এসেছেন স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিন। এসইউভি গাড়ির দিকেই ঝোঁক বেশি এই রেসলারের। রয়েছে রেঞ্জ রোভার অটোবায়োগ্রাফি। ১৯৯৫ সালের একটি ফোর্ড ব্রোঙ্কও রয়েছে এই রেসলারের। একটি ম্যাকলারেন ৭২০ এস ও রয়েছে স্টোনের গ্যারেজে।
ট্রিপল এইচ- প্রতি দিনের ব্যবহারের জন্য একটি কালো রঙের ক্যাডিল্যাক এসক্যালেড ব্যবহার করেন ট্রিপল এইচ। এই গাড়িটি নিয়েই রেসলিং ইভেন্টগুলোতেও ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। তবে একটি ওল্ড জেনারেশন রোলস রয়েস ফ্যান্টমও ব্যবহার করেন ট্রিপল এইচ।
হাল্ক হোগ্যান- রিংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা। হোগ্যানের গ্যারেজে রয়েছে একটি ডজ চ্যালেঞ্জার ডেমন। জন সিনার মতো একটি শেভ্রোলে কামারো মডেলও রয়েছে এই রেসলারের গ্যারেজে। তবে হাল্কের কামারো এক্কেবারেই নিউ জেনারেশনের।