‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের জুটি গৌরব ও শ্রুতি। —নিজস্ব চিত্র।
‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের নায়ক দৃপ্তর বাবা তপোব্রত সেন মৃত্যুশয্যায়। দৃপ্তর মৃত মা নিয়ে যেতে এসেছে তাকে। ধারাবাহিকের নায়িকা ত্রিনয়নী বা নয়ন দৃপ্তর মৃত মাকে দেখতে পায়। শ্বশুরের মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করে সে। সে কি সফল হয়?
ত্রিনয়নী ভবিষ্যৎ দেখতে পেলেও ভবিষ্যতের ঘটনা পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। ফলে সে দৃপ্তর মা, অর্থাৎ নিজের শাশুড়িকে অনুরোধ করে শ্বশুরকে নিয়ে না যেতে। শ্বশুরের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ইমোশনাল সম্পর্ক নয়নের। তার মৃত্যু আটকাতে নয়ন তাই সব রকম চেষ্টা করে।
ত্রিনয়নীর ভূমিকায় শ্রুতি দাস গল্পটা বললেন, “নয়নের শাশুড়ি বলে, ‘তুই এত বড় আত্মত্যাগ করলি কাউকে বাঁচানোর জন্য। এখন তোকে একটা ক্ষমতা দিলাম। এর পর থেকে তুই যদি কাউকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাস সে তোর আয়ু ধার করে বাঁচবে। সুতরাং তোর আয়ু কমে যাবে।’ এটা নিয়েই গল্পে আসছে নতুন টুইস্ট।”
আরও পড়ুন: সইফের বিয়ের প্রস্তাব বারবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন করিনা
গল্পের দৃপ্ত, গৌরব রায়চৌধুরী যোগ করেন, “মাকে আটকানোর জন্য আর বাবাকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয় নয়ন। আর দৃপ্ত বাবাকে হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে যায়। কিন্তু তার মধ্যেও নয়নের চিকিৎসা করে।”
নয়নের কী হয়েছে? শ্রুতি বললেন, “শ্বশুরকে বাঁচানোর জন্য নয়ন নিজের হাত কেটে ফেলেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে দৃপ্ত। নয়নের অপারেশন হয়েছে।”
তা হলে কি এ বার নয়নের জীবন নিয়েই দেখা দেবে সংশয়? গৌরব বললেন, “পরের গল্প কী ভাবে এগোবে সেটা এখনও জানি না।”
আপনি নাকি শ্রুতিকে খুব রাগিয়ে দেন? গৌরব হাসতে হাসতে বললেন, “ওকে রাগানো খুব সহজ। শুধু আমি একা নই, সেটের সবাই ওকে রাগাতে ভালবাসে। ও রেগেও যায়। সে জন্য ওকে মজা করে সবাই ক্ষ্যাপাতে থাকে।”
আরও পড়ুন: ‘হাত খালি থাকলে অস্বস্তি হবেই’
শ্রুতি হাসলেন, “আমিও ওর পিছনে লাগি। ও আমার সিক্রেট জানে। আমিও ওর বিষয়গুলো জানি, বলেও ফেলি পরস্পরকে। ও এমবারাসড হয়ে যায় মাঝে মাঝে, আমিও হই। কিন্তু শুটের ফাঁকে প্রচণ্ড মজা করি আমরা। হা হা...”
দুজনেই হেসে উঠলেন নিজেদের দুষ্টুমির কথা বলতে বলতে।