হাকুনা মাটাটা! পুম্বা-টিমোন-সিম্বার সঙ্গে গলা মিলিয়ে এ বার গানটা গাইতে পারেন পরিচালক জন ফ্যাব্রোও। বিশ্ব জুড়ে বক্সঅফিসে ঝড় তুলেছে সদ্য মু্ক্তিপ্রাপ্ত তাঁর ছবি, ‘দ্য লায়ন কিং’। মুক্তির পরে মাত্র কয়েক দিনে বিশ্বে ব্যবসা করেছে ভারতীয় মুদ্রায় ৩৭৫৫ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকারও বেশি।
১৯৯৪ সালের প্রথম লায়ন কিং-এর থেকে নতুন ছবির গল্পে পার্থক্য নেই। তফাৎ গড়ে দিয়েছে মেকিং। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এই থ্রি-ডি ছবিতে মরুভূমির বালি থেকে মাকড়সার জালের জলবিন্দুও বড় জীবন্ত। মোট একান্নটা ওপেনিং মার্কেটের প্রত্যেকটিতে প্রথম স্থানে রয়েছে ‘দ্য লায়ন কিং’।
বাকি দেশে তো বটেই। নিজের দেশেও দুর্দান্ত সিম্বার মার্কশিট। আমেরিকায় জুলাই মাসে বাকি ছবিগুলিকে অনেক পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে মুফাসা-সিম্বা-সরাবির পরিবার।
ভারতেও দুর্দান্ত ব্যবসা করছে ‘দ্য লায়ন কিং’। মাত্র চারদিনে ভারতীয় বক্স অফিসে সিম্বার সংগ্রহ ৬১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। এক সপ্তাহে লভ্যাংশ পৌঁছবে ৮০ কোটি টাকায়। অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এখনও অবধি ভা্রতে মুক্তি পাওয়া হলিউডের সিনেমার মধ্যে তৃতীয় ছবি হিসেবে ‘দ্য লায়ন কিং’ ৫০ কোটির গণ্ডি পেরোল প্রথম সপ্তাহেই। হৃতিক রোশনের ‘সুপার ৩০’ এবং শাহিদ কপূরের ‘কবীর সিংহ’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বক্স অফিসে নিজের জায়গা করে নিয়েছে সিম্বা।
মুক্তির দিন অর্থাৎ ১৯ জুলাই লায়ন কিং ভারতে ব্যবসা করেছে ১১.০৬ কোটি টাকার। তার পরের দিন শনিবার এই পরিমাণ ছিল ১৯.১৫ কোটি এবং রবিবার ২৪.৫৪ কোটি টাকা।
এখনও জাপান, হংকং, ইতালি থেকে ‘লায়ন কিং’-এর বক্স অফিস রিপোর্ট সম্পূর্ণ আসেনি। আসার পরে অনুমান করা হচ্ছে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে এর ব্যবসা।
চিনের বক্স অফিসে গত সপ্তাহে লায়ন কিং সে ভাবে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। তাকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়েছিল ‘লুকিং আপ’ আর ‘নে ঝা’-র কাছে। তবে ইঙ্গিত দেখে বোঝা যাচ্ছে, চিনের বাজারেও মোটা মুনাফাই করতে চলেছে সিম্বা।
জনপ্রিয়তা ও প্রাথমিক ব্যবসার নিরিখে সাম্প্রতিক অতীতের ‘দ্য জাঙ্গল বুক’, ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’, ‘আলাদিন’-কেও ছাপিয়ে গিয়েছে ‘দ্য লায়ন কিং’। রাশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া ও লাতিন আমেরিকাতেও সিম্বার পারফরম্যান্স তাক লাগানো।
ওয়াল্ট ডিজনির ‘দ্য লায়ন কিং’ কিন্তু ফাঁকা ময়দান পায়নি। তার কয়েকদিন আগেই, ২৮ জুন মুক্তি পেয়েছে সোনি-র ‘স্পাইডারম্যান: ফার ফ্রম হোম’। এখনও অবধি বিশ্ব জুড়ে তার ব্যবসা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬৯০ কোটি টাকারও বেশি।
মুক্তির ন’ সপ্তাহ পরেও দিব্যি চকচক করছে ‘আলাদিন’-এর ইচ্ছেপূরণের প্রদীপও। খুব দ্রুত ছবিটি বিশ্ব বাজারে ভারতীয় মুদ্রায় ৬৮৯৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার ব্যবসা করতে চলেছে।