একটা ছোট্ট মেয়ে ছবি আঁকছে। কিন্তু ছবি আঁকা বন্ধ হয়ে গেল তার অফিসফেরত বাবার কাশির শব্দে। বাবার কাশি যেন থামতেই চায় না। সোফায় বসে টিভি দেখা থেকে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া, বাবার কাশির শব্দে এবং সিগারাটের ধোঁয়ায় বিব্রত মেয়ে। মেয়ের করুণ মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা বোঝেন আসন্ন বিপদের কথা। তিনি ধূমপান ছেড়ে দিলেন। বছর ষোলো আগে জনপ্রিয় হয়েছিল জনস্বার্থে প্রচারিত এই ধূমপানবিরোধী বিজ্ঞাপনটি। টেলিভিশনের পাশাপাশি সেটি দেখানো হত প্রেক্ষাগৃহে কোনও ছবির শুরুতে এবং ছবির দু’টি অর্ধের বিরতিতে।
বিজ্ঞাপনের সেই বালিকা সিমরন নাটেকর আজ তরুণী। জানেন, এখন কী করছেন তিনি?
মুম্বইয়ে সিমরনের জন্ম ১৯৯৭ সালে। তাঁর সাত বছর বয়সে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল ধূমপানবিরোধী ওই বিজ্ঞাপনে। সিমরনের মুখে কোনও সংলাপ ছিল না। চোখের অভিব্যক্তিতেই ফুটিয়ে তুলেছিলেন অনুচ্চারিত সংলাপ। দেশ জুড়ে সিমরনকে জনপ্রিয়তা দেয় এই বিজ্ঞাপন।
বড় হয়েও অভিনয় থেকে দূরে সরে যাননি সিমরন। টেলিভিশনের পাশাপাশি তাঁকে দেখা গিয়েছে সংবাদপত্র ও পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনেও। হেলথ ড্রিঙ্ক থেকে মুম্বই মেট্রো, বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন সিমরন। ২০১১-১২ সাল নাগাদ ছোট পর্দায় তাঁর করা সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম হল ‘বন্ধন সাত জন্মো কা’, ‘লভ ইউ জিন্দগি’ এবং ‘এক হাজারো মেঁ মেরে বহেনা ভি’।
‘দেবোঁ কে দেব মহাদেব’ সিরিয়ালে সীতার ভূমিকায় সিমরনের কাজ দর্শকদের নজর কাড়ে। এ ছাড়াও ‘হাতিম’, ‘বালিকা বধূ’, ‘পলক পে ঝলক’ সিরিয়ালেও তাঁর অভিনয় দর্শকমনে দাগ কেটে গিয়েছে।
সম্প্রতি সিমরন কাজ করেছেন ‘গার্লস হস্টেল’ ওয়েব সিরিজেও।
সিমরন অভিনয় করেছেন বেশ কিছু ছবিতেও। ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছে তাঁর প্রথম ছবি ‘জানে কঁহা সে আয়ি হ্যায়’। এ ছাড়া ‘কৃষ থ্রি’, ‘দাওয়াত-এ-ইশক’ এবং গুজরাতি ছবি ‘বেস্ট অব লাক লালু’ তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য।
শুটিংয়ের অবসরে সিমরন ভালবাসেন বেড়াতে যেতে আর শপিং করতে। সিনেমা দেখতেও পছন্দ করেন রণবীর কপূরের এই ভক্ত।
বাড়িতে থাকলে সিমরনের অবসর সময় কাটে পোষা কুকুরের সঙ্গে খেলা করে।
এখনও অবধি বিভিন্ন পণ্যের দেড়শোটিরও বেশি বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে সিমরনকে।
হিন্দির পাশাপাশি সিমরন গুজরাতের বিনোদন দুনিয়াতেও পরিচিত মুখ। (ছবি: ফেসবুক)