বিতর্কের ঝড়ঝাপটার মধ্যেও বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’, ইতিমধ্যেই ৬০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে টাকার অঙ্ক। —ফাইল চিত্র
হরিয়ানায় করমুক্ত হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবি নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের আবহে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বুধবারই সুসংবাদ ঘোষণা করেছেন। এর আগে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র প্রদর্শনে কর ছাড়ের বন্দোবস্ত করেছেন। শুধু তা-ই নয়, আরও ৩৭টি দেশে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি— সমাজমাধ্যমের পাতায় জানিয়েছেন অভিনেত্রী অদা শর্মা নিজে। তবে বঙ্গে এখনও নিষিদ্ধ বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবিটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আগেভাগেই এ ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্যে।
৫ মে, পূর্বনির্ধারিত দিনেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। বিতর্কের ঝড়ঝাপটার মধ্যেও বক্স অফিসে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে এই ছবি। ইতিমধ্যেই ৬০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে টাকার অঙ্ক। বুধবার একটি টুইট করে অদা জানান এই খবর। অদা লেখেন, ‘‘আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ, যাঁরা এই ছবি দেখছেন, যাঁরা এই ছবি নিয়ে কথা বলছেন, যাঁরা এটাকে ট্রেন্ডিং করেছেন এবং যাঁরা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন। আগামী সপ্তাহান্তে, ১২ মে আরও ৩৭টি দেশে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।’’ যদিও কোন কোন দেশে মুক্তি পাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’, তা এখনও খোলসা করেননি বলিউড অভিনেত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি নেতারা ছবিটিকে সমর্থন করেছেন এবং অন্যান্য রাজ্যকেও এটি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলা এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করেছে এই আশঙ্কায় যে, যে এটি রাজ্যে বিশৃঙ্খলা এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। যদিও পরিচালক আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, “ছবি না দেখেই নিষিদ্ধ করে দেওয়াটা একেবারে বাচ্চাদের মতো, ছেলেখেলার ব্যাপার হল। এই ছবিটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সবাই ছবিটা দেখছেন। কংগ্রেস এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যেও ছবিটা দেখানো হচ্ছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে বাদ। তামিলনাড়ুতেও কিন্তু ছবিটা ‘নিষিদ্ধ’ হয়নি। ওখানে প্রদর্শকদের সঙ্গে সমস্যা হচ্ছে।”
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিতে শালিনী উন্নিকৃষ্ণনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অদা শর্মা। বিতর্কিত এক ছবিতে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিন যখন আমি ছবির চিত্রনাট্য শুনেছি, আমি বুঝতে পেরেছি, এটা এক নিরীহ মেয়ের গল্প। যে আইএসিস-এর মতো একটা দলের প্যাঁচে পড়ে গিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদের এই গল্প ভয়ঙ্কর, তবে কাউকে না কাউকে তো এই গল্পটা বলতেই হত।’’ এর আগেও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এখনও মনে করছেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ একটা প্ররোচনামূলক ছবি, তাঁরা গুগলে একটু খুঁজে দেখুন। সত্যিটা জানতে পারবেন।’’