ছবির মাধ্যমে প্রশ্ন তুলছেন পরিচালক ফারহা খাতুন।
ভোপালের সফিয়া এ কথা বুঝেছেন নিজের জীবন দিয়ে। মুসলিম মেয়েদের ‘কাজী’ হওয়ার প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়ে। তখনই তাঁর মনে হয়েছে, কী ভীষণ অন্যায়ের স্বীকার মেয়েরা! ধর্মের শুরু থেকে শেষ যেন পুরুষের পৃষ্ঠপোষক। মেয়েরা আজও নীরবে চোখের জল ফেলছে ‘তিন তালাক’-এর গেরোয়!
তা হলে কি ‘হোলি রাইটস’ বা ‘পবিত্র ধর্ম’-র অধিকার শুধুই পুরুষদের?
এই প্রশ্নই তুলেছেন পরিচালক ফারহা খাতুন। এরই পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, বোধহয় না। নয় বলেই শবরীমালায় ঋতুযোগ্যাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে উত্তাল হয়েছে ২০১৯। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যায় বাড়ছেন মহিলা পুরোহিত, মহিলা ঢাকি। এই বিশ্বাস থেকেই আবারও সর্বধর্মসমন্বয়ের সুর শুনিয়েছে মুসলিম নারী, মুসলিম জাগরণের হয়ে কথা বলা তাঁর ডক্যু ছবি ‘হোলি রাইটস’। যেখানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নারী শুনিয়েছে, কোনও ‘মৌলানা’ বা ‘মুফতি’ মহিলা কাজী হওয়ার পথনির্দেশ তৈরি করেননি। নারী নিজেই তৈরি করে নিয়েছে চলার নতুন পথ।
ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ফারহা বলছেন, ‘‘সফিয়া আদতে ধর্মপ্রাণ। কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী নন। এমন নারী আমাদের সমাজে বিরল। তিনি পোশাকে ধর্ম মানেন না। আবার নমাজ না পড়াও সমর্থন করেন না। সফিয়ার মতে, ধর্ম চলুক আপন পথে। আধুনিকতা বিধর্মী হতে শেখায় না।’’
আরও পড়ুন: ‘ও সনম’: ফের লাকি আলি নেশায় মত্ত দেশ
তাই ছবির শেষে সফিয়ার মুখ দিয়ে পরিচালক শুনিয়েছেন একুশের নারী জাগরণের বার্তা, ‘‘আপনি নমাজ পড়েন? না পড়লে খুব ভুল করেন। খুব ভুল....।’’ এ ছবির প্রযোজনায় মোজেইক ইন ফিল্মস।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল যুদ্ধ জারি, জিমের ছবি দিয়ে তরজা জিইয়ে রাখলেন শ্রাবন্তী