সারমেয়দের জন্য বিমান! খুশি এই তারকারা। নিজস্ব চিত্র।
মাস তিনেক আগে রেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিলেন। এ বার থেকে এসি কারে যাতায়াত করতে পারবে সারমেয়রা। যাঁরা সারমেয় ভালবাসেন, তাঁদের মুখে চওড়া হাসি। সন্তানসম পোষ্যকে আর বাড়িতে রেখে যেতে হবে না। সেই হাসি আরও দ্বিগুণ সাম্প্রতিক আরও একটি ঘোষণায়। পোষ্যদের কথা ভেবে প্রথম সারির একটি বিমান সংস্থার সহযোগী একটি সংস্থা খোলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিমানে যাতায়াতের সময় একজন যাত্রী যা যা সুবিধে পান, সে সব দেওয়া হবে সারমেয় যাত্রীকেও। অর্থাৎ, খাবার, পানীয়, কান ঢাকার উপকরণ-সহ সমস্ত কিছু। কোনও রকম বৈষম্য, আকার-প্রকারভেদ ছাড়াই।
টলিউড এবং বাংলা বিনোদন দুনিয়ার তারকারা ইতিমধ্যেই সারমেয়দের ন্যায্য অধিকার, সুযোগসুবিধে চেয়ে সরব। তথাগত মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘পারিয়া’ ছবিতে সারমেয়দের কথা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে দিয়েছেন আরও বড় করে। সারমেয়প্রেমীদের তালিকায় তিনি ছাড়াও রয়েছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, অলিভিয়া সরকার এবং আরও অনেকে। বিষয়টি কি তাঁরা জানেন? এই পদক্ষেপে কতটা খুশি সবাই? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল এই চার অভিনেতার সঙ্গে। কী বলছেন তাঁরা?
মানুষের মতো বিমান সারমেয়রও। নিজস্ব চিত্র।
তৃপ্তির ছোঁয়া তথাগতর কণ্ঠে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘খবরটা পেয়েছি। রেলে সারমেয়দের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ঘোষণার পরেই মনটা ভাল হয়ে গিয়েছিল। এবার বিমানেও ওরা উঠবে। এর থেকে ভাল কী হতে পারে!’’ তথাগতর দাবি, এটা আরও অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল। কারণ, একটি সারমেয় কোনও অংশেই এক জন মানুষের থেকে কম নয়। তিনি আরও খুশি, নতুন এই বিমান সংস্থা সারমেয়দের মধ্যে শ্রেণিবৈষম্য রাখছে না বলে। একই কথা বলেছেন তথাগতর ‘পারিয়া’ ছবির নায়ক বিক্রমও। তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই অবস্থাতেই জানালেন, দিন দুই আগে এমন খবর তাঁর কানেও এসেছিল। আনন্দবাজার অনলাইন সেই খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিল। তিনি আনন্দিত। এবং এই ধরনের পদক্ষেপ যাতে আরও করা হয়, তার অনুরোধও জানিয়েছেন।
অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার সময় বাড়ির পোষ্যটিকে কোথায় বা কার ভরসায় রেখে যাবেন ভেবে ফাঁপরে পড়েন। সেই সমস্যা এ বার মিটতে চলেছে। আনন্দবাজার অনলাইনের ফোন পেয়ে এক নিঃশ্বাসে এই বক্তব্যই জানিয়েছেন সুদীপা। তাঁর বাড়িতে একাধিক কুকুর। তিনি তাঁদের সন্তানস্নেহে পালন করেন। সেই অনুভূতি থেকে তাঁর যুক্তি, ‘‘বাইরে যাওয়ার সময় ওদের মুখগুলো কালো হয়ে যায়! আমাদের সঙ্গে যেতে পারে না বলে। ফলে, বাইরে গিয়েও যেন শান্তি পেতাম না এত দিন। এবার ওরা সঙ্গে থাকবে। চুটিয়ে আনন্দ করব।’’ একই দাবি অলিভিয়ারও। তিনি জানিয়েছেন, অসুস্থ পোষ্যের দ্রুত চিকিৎসা হবে এতে। ট্রেনে যাওয়া সময়সাপেক্ষ। এতে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না-ও হতে পারে। তাতে মারাও যেতে পারে অবোলা প্রাণিটি। এ ছাড়া, এতটা জার্নি করতে গিয়েও নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। সারমেয়দের জন্য বিমান পরিষেবা চালু হলে সেই সমস্যা মিটবে। তাঁর কথায়, ‘‘পৃথিবীটা একা মানুষের নয়। পোষ্যদের জন্যও। এটা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।’’