বাঁ দিকে গৃহবধূ সীমা মণ্ডল। ডান দিকে ‘দুর্গা সহায়’-এর লুকে তনুশ্রী।
খবরের কাগজ তিনি প্রতি দিনই পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, মঙ্গলবারের খবরের কাগজে পড়া একটি ঘটনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। গৃহবধূ সীমা মণ্ডলের সঙ্গে কোথাও যেন মিলে গিয়েছে তনুশ্রীর গল্প।
বিষয়টা ঠিক কী?
মঙ্গলবার আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়েছে সিউড়ির একটি ঘটনা। সোমবার সিউড়ি শহরের ব্যবসায়ী নিমাইচন্দ্র মণ্ডলের বাড়িতে চোর ঢোকে। ঘড়িতে সকাল ৭টা। রান্নাঘরে চা করছিলেন নিমাইচন্দ্রের পুত্রবধূ সীমাদেবী। তখনও ঘুম ভাঙেনি তাঁর স্বামীর। শ্বশুরমশাই স্নানঘরে। খোলা ছিল মূল ফটক। সেই সুযোগে দোতলায় উঠে চোর ঢোকে নিমাইবাবুর ঘরে। খুটখাট আওয়াজ পান সীমাদেবী। উঁকি দিয়ে বোঝেন, চোর ঢুকেছে ঘরে। দরজায় শিকল তুলে দেন। চেঁচিয়ে ডাকেন পড়শিদের। চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা সম্প্রতি বার বার দেখেছে সিউড়ি। কিন্তু, মারধরে সায় ছিল না সীমাদেবীর। চোরকে চা খাওয়ান তিনি। পরে গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঠিক এখানেই বাস্তবের সীমার সঙ্গে মিল রিল লাইফের তনুশ্রীর। অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘দুর্গা সহায়’ সিনেমার গল্পটাও যেন অনেকটাই এক। সেখানেও বাড়িতে সাহায্যকারীর কাজে আসা ‘দুর্গা’র চুরির মতলব ছিল। কিন্তু বাড়ির বউ বিশ্বাস করেছিলেন দুর্গাকে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তনুশ্রী। ‘দুর্গা’ হিসেবে সোহিনী সরকারের পারফরম্যান্স দেখেছিলেন দর্শক।
আরও পড়ুন, গণপিটুনি ঠেকিয়ে চোরকে চা সীমার
তনুশ্রীর কথায়: ‘‘খবরটা পড়েই আমার ‘দুর্গা সহায়’ ছবিটার কথা মনে হয়েছে। ওই মহিলা চোরকে গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। চা খাইয়েছেন। সব থেকে বড় কথা, ওঁকে বিশ্বাস করেছেন। বিশ্বাস করলে মানুষ বদলে যায়। এটা আমার জীবন দিয়ে দেখা। আর আমরা দেখেছি সমাজের রিফ্লেকশন সিনেমায় পড়ে। এখানে সিনেমার রিফ্লেকশন সমাজে পড়েছে।’’