তনুশ্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলার পর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক বিবেক জানান, তনুশ্রী যা বলেছেন, সব মিথ্যে। বিবেকের কথায়, ‘‘জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য এবং আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ সব কথা বলা হয়েছে। আদপে সব মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।’’
বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তনুশ্রী দত্তের
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর দৌলতে শিরোনাম দখল করেছেন বলিউডের পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। বক্স অফিস মাতিয়ে ব্যবসা করছে এই ছবি। ’৯০-এর দশকে জম্মু-কাশ্মীর থেকে শ’য়ে শ’য়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতকে ঘরছাড়া করার ঘটনাকে সেলুলয়েডে তুলে ধরেছেন বিবেক। কিন্তু এই ছবি বানানোর আগে পর্যন্ত তাঁর খুব বেশি সুখ্যাতি ছিল না ইন্ডাস্ট্রিতে। বহু বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল তাঁর নাম।
২০১৮ সালে ফিরে যাওয়া যাক। বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালকের বিরুদ্ধে। ২০০৫ সালের একটি ঘটনার কথা জানান প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী তনুশ্রী। ‘চকোলেট: ডিপ ডার্ক সিক্রেটস’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ে ঘটনাটি ঘটে বলে তাঁর দাবি।
তনুশ্রীর কথায়, ‘‘আমার শট ছিল না। আমি ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ইরফান খানের মুখের ক্লোজ আপ শট নেওয়া হচ্ছিল। আমি নিজের পোশাকের উপর একটি তোয়ালে জড়িয়ে দৃশ্যটি দেখছিলাম। হঠাৎ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী আমাকে বলেন, ‘যাও, ইরফানের সামনে গিয়ে কাপড় খুলে নাচো। তা হলে ইরফানের সুবিধা হবে অভিনয় করতে।’ আমি হতবাক হয়ে যাই এটা শুনে। কিন্তু ইরফান আমাকে রক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার সাহায্যের প্রয়োজন নেই। আমি অভিনেতা। কিছু না দেখলেও প্রয়োজনীয় অভিব্যক্তি ফুটে উঠবে আমার মুখে। কী সব বলছ তুমি? কাউকে কাপড় খুলে আমার সামনে নাচতে হবে না!’ এমনকি সুনীল শেট্টিও সেখানে ছিলেন। তিনিও বলেন, ‘আমি সাহায্য করছি ইরফানকে। তনুশ্রীকে এ সব করতে হবে না।’ ইরফান এবং সুনীলের মতো মানুষের জন্যেই আজও বলিউডের উপর থেকে পুরোপুরি বিশ্বাস হারাইনি আমি।’’
যদিও এই ঘটনার পর বিবেক জানান, তনুশ্রী যা বলেছেন, সব মিথ্যে। বিবেক বলেন, ‘‘জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য এবং আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ সব কথা বলা হয়েছে। আদপে সব মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।’’