‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’ সিরিয়াল। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছরের সিংহভাগ জুড়ে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দর্শকের মনোরঞ্জন করার পরে এখন বিতর্কে জর্জরিত এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের প্রযোজক অসিত মোদীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন ধারাবাহিকেরই অভিনেত্রী জেনিফার মিস্ত্রি বনসিওয়াল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় অসিতের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল এফআইআরও। ধারাবাহিকের হাল ফেরাতে ‘দয়াবেন’ চরিত্রকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্মাতারা। তার পরেও সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘বয়কট টিএমকেওসি’ লিখে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন নেটাগরিকদের একাংশ। সেই বিতর্কের মাঝেই খবর, এ বার নাকি সত্যি সত্যিই যবনিকা পতন হতে চলেছে ‘তারকা মেহতা...’-র।
সত্যিই কি বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক? জল্পনা বাড়তেই ধারাবাহিকের প্রযোজক অসিত বলেন, ‘‘আমি এখানে আমার দর্শকের মনোরঞ্জন করতে এসেছি, আর আমি তাঁদের মিথ্যা কথা বলব না। জটিল পরিস্থিতির কারণে আমরা আপাতত দয়াবেনের চরিত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারছি না। তবে আমি কথা দিচ্ছি, দয়াবেনকে ফিরিয়ে আনবই। সে দিশা ভকানির হাত ধরেই হোক, বা অন্য কারও মাধ্যমে। ১৫ বছর ধরে একটা কমেডি ঘরানারা ধারাবাহিক চালানো সহজ কাজ নয়। এত দিন যখন করতে পেরেছি, আগামী দিনেও পারব।’’
কয়েক মাস আগে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তির উঠেছিল প্রযোজক অসিতের বিরুদ্ধে। ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’ সিরিয়ালে মিসেস রোশন সোধির চরিত্রে অভিনয় করতেন জেনিফার। কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানসিক ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তিনি। জেনিফার জানান, গত ৬ মার্চ শেষ বার ধারাবাহিকের শুটিং করেছেন তিনি। শুটিং করার পরেও নিজের প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী। ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ার পর প্রায় সাড়ে তিন মাসের পারিশ্রমিক নাকি তাঁকে দেওয়া হয়নি, দাবি জেনিফারের। অভিনেত্রী আরও জানিয়েছিলেন, ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’ নাকি একটি আদ্যোপান্ত পিতৃতান্ত্রিক সেট।