করোনা পরিস্থিতিতেই রাশিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু।
তবে সেখানে গিয়েও দম ফেলার সময় নেই তাঁর। রাস্তায় রীতিমতো দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। পায়ে স্নিকার্স।
সেন্ট পিটার্সবার্গের রাস্তায় তাঁর সেই দৌড়ের ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন তাপসী।
দৌড়নোর কারণও জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘এই ছোট রাস্তাগুলো বেশ মন ভাল-করা। তবে ডিনারে দেরি হয়ে গেল। এবার দৌড়ই।’
দেশটা রাশিয়া, তবে তাপসীর বেশবাস দেশজ। পাতলা সিল্কের একটা সাদা শাড়ি পরেছেন। সঙ্গে কনুই পর্যন্ত ঢাকা ব্লাউজ। সাজে অবশ্য শহুরে ছাপ। এক হাতে ঘড়ি অন্য হাতে কয়েক গাছা রুপোর চুরি। মাথায় খোঁপা। চোখে কালো রোদ চশমা।
তবে এ-সবের সঙ্গেই পায়ে একটি স্নিকার্স পরেছেন তাপসী। দৌড়তে সুবিধা হবে বলে বোধ হয়!
রাশিয়ায় তাপসীর নৈশভোজের সঙ্গী কে, তা অবশ্য জানাননি তাপসী। তবে সম্ভবত তাপসীর বোন শগুনও রয়েছেন সঙ্গে। দিদির সঙ্গে রাশিয়ায় ঘুরতে এসেছেন তিনিও।
ইনস্টাগ্রামে তাপসীর সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন শগুন। জানিয়েছেন তাঁদের নিত্যদিনের নতুন নতুন ঘোরার পরিকল্পনার কথা।
সেন্ট পিটার্সবার্গের আগে মস্কোয় গিয়েছিলেন তাপসীরা। সেখানেই একটি ছবি শেয়ার করে শগুন লিখেছেন, ‘আজ আমাদের প্ল্যান শুধু হাঁটা। যেদিকে খুশি, যেখানে খুশি হাঁটা। ক্লান্ত হয়েগেলে যেখানে ইচ্ছে বসে পড়ব। জল খাব। বিশ্রাম নেব। আবার উঠে হাঁটতে শুরু করব।’
বেড়ানোর অনেক ছবি শেয়ার করেছেন তাপসীও। এমনকী মস্কো কিংবা সেন্ট পিটার্সবার্গে তাঁরা যে বাড়িতে থাকছেন, সেই বাড়িটির ছবিও শেয়ার করেছেন তাপসী।
দুই শহরেই থাকার জন্য গোটা একটা বাড়িই ভাড়া করে নিয়েছেন তাপসী। দুই বোন কবে কোথায় বেড়াবেন তার দায়িত্বও নিয়েছেন তাপসী নিজেই।
ডায়েরি পেন নিয়ে তাঁর বেড়ানোর প্ল্যানিং করার ছবিও নেট মাধ্যমে দিয়েছেন তাপসী। লিখেছেন, ‘প্ল্যানিংয়ের জন্য পুরনো পদ্ধতিই বেছে নিলাম। ডায়েরি আর পেন। এর জবাব নেই।’
মস্কোতেও শাড়ি পরে দর্শনীয় জায়গাগুলি দেখতে বেড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। মস্কোর সেন্ট্রাল প্যাভিলিয়নের সামনে নীল সুতির শাড়ি আর লম্বা হাতা হলুদ ব্লাউজ পরে ছবি দিয়েছেন তিনি। এখানেও তাপসীর পায়ে স্নিকার্স। চোখে রোদ চশমা।
তবে তাপসীর দেওয়া সবক’টি ছবিতেই একটি বিষয় চোখে পড়ার মতো। কোনও ছবিতেই মাস্ক পরে নেই তাপসী বা তাঁর বোন শগুন।
তার অবশ্য ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তাপসী। একটি ছবির বিবরণে লিখেছেন, ‘অবশেষে ওল্ড নরমাল-এ ফেরা। নতুন নতুন রঙে নিজেকে মুড়ে ফেলার সুযোগ। যখন খুশি রাস্তার পাশে বসে পড়া। ইচ্ছে মতো আকাশ দেখা। আর নিজেকে বলা সব ঠিক আছে। সব ঠিক হয়ে যাবে। মস্কোকে অভিবাদন। এবার আসল স্বাভাবিক জীবনের মজা নেওয়া যাক।’