বিয়েটা সেরে ফেলেছেন। চুপিসারে। বৃহস্পতিবার আচমকাই সেই বিয়ের ভিডিয়ো পোস্ট করলেন। বিয়ে সেরে রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বার হচ্ছেন স্বরা ভাস্কর এবং ফাহাদ জিরার আহমেদ।
রেজিস্ট্রি অফিসে বিয়ের আবেদনের নথিপত্র জমা করেছিলেন গত ৬ জানুয়ারি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সেই বিয়ের কথা প্রকাশ করলেন। নায়িকার বিয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত ভক্তেরা। উচ্ছ্বসিত সমাজকর্মী থেকে রাজনৈতিক মহল। কারণ নবদম্পতির সঙ্গে কোথাও না কোথাও যোগ রয়েছে এঁদের সকলের।
ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন স্বরা। লাল শাড়ি-সাদা ব্লাউজ পরে নায়িকা। গলায় ফুলের মালা। তাঁর হাত ধরে রয়েছেন ফাহাদ। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর লাল জওহর কোট। সঙ্গে বন্ধুবান্ধব।
টুইটারেও একটি পোস্টও করেছেন স্বরা। সেখানে লিখেছেন, ‘‘অনেক সময় আমরা এমন কিছু খুঁজি যা চোখের সামনেই থাকে, কিন্তু আমরা দূরে খুঁজতে থাকি। আমরা ভালবাসা খুঁজছিলাম। কিন্তু খুঁজে পেলাম বন্ধুত্ব। তার পর একে অপরকে খুঁজে পেলাম। আমার মনে তোমাকে স্বাগত ফাহাদ। এখানে অনেক শোরগোল, কিন্তু এই মন তোমার।’’
টুইটারে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন স্বরা। কী ভাবে আলাপ ফাহাদের সঙ্গে, কী ভাবে ক্রমে পরিণতি পেয়েছে সম্পর্ক, সব সেখানেই জানিয়েছেন নায়িকা।
২০১৯ সালের শেষ থেকে দিল্লিতে নাগরিকত্ব বিরোধী আইন নিয়ে প্রতিবাদ চলছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সেই প্রতিবাদের মঞ্চেই স্বরা আর ফাহাদের প্রথম দেখা।
ফাহাদ সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা। সমাজমাধ্যমে সেই পরিচয়ই লেখা রয়েছে তাঁর। পেশার পাশে লেখা রয়েছে ডিজিটাল ক্রিয়েটর। ভিডিয়োর শুরুতে ফাহাদ সরব হয়ে বলছেন, ‘‘আমার সরকারকে প্রশ্ন করা আমার দেশপ্রেম।’’
ভিডিয়োয় স্বরার পরিচয় হিসাবে লেখা রয়েছে, ‘অভিনেত্রী, টুইটারের পোকা’। এর পর দু’জনের প্রথম সেলফিও ঠাঁই পেয়েছে ওই ভিডিয়োতে।
স্বরা আর ফাহাদের সম্পর্কে অনুঘটকের কাজ করেছে গালিব। সেই গালিবেরও ছবি রয়েছে স্বরার পোস্ট করা ভিডিয়োতে। গালিব আর কেউ নয়, এক পোষ্য বিড়াল।
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন স্বরা। আর সব শেষে ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘অনন্তের উদ্দেশে’।
স্বরার টুইট রিটুইট করেছেন ফাহাদও। তাতে লিখেছেন, ‘‘শোরগোল যে এত সুন্দর হতে পারে, জানতাম না। আমার হাতটা ধরার জন্য ধন্যবাদ।’’
দীর্ঘ দিন দিল্লির একটি নাটকের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন স্বরা। ২০০৮ সালে মুম্বইতে আসেন। ২০০৯ সালে ‘মাধোলাল কিপ ওয়াকিং’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন। ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ ছবি দিয়ে পরিচিতি স্বরার।
তবে রুপোলি জগতের পাশাপাশি প্রতিবাদের মঞ্চেও একই রকম উজ্জ্বল স্বরা। নাগরিকত্ব বিরোধী আইন থেকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর পুলিশি নিগ্রহ— বার বার সরব হয়েছেন স্বরা।
লোকসভা নির্বাচনের আগের বিহারের বেগুসরাইয়ে গিয়ে সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমারের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। আবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-তেও হেঁটেছেন। এ বার জীবনের বাকি পথ হাঁটবেন ফাহাদের সঙ্গে। সক্রিয় রাজনীতিতেও কি পা রাখবেন? জবাব দেবে ভবিষ্যৎ।