পাকিস্তানি শিল্পীর পোশাক পরেছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে, বিতর্কের মুখে পড়লেন স্বরা। ছবি: সংগৃহীত।
আইনি বিয়ের এক মাসের মাথায় সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে করেছেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। পাত্র সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদ। চলতি মাসে দিল্লিতে স্বরার দিদিমার বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। সেখানেই ভিন্ধর্মের ফাহাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন স্বরা। সে কথা মাথায় রেখে বিয়ের আমন্ত্রণপত্র থেকে অনুষ্ঠানেও ছিল সম্প্রীতির ছোঁয়া। সব আটঘাট বাঁধার পরেও শেষরক্ষা হল না। বিয়ের শেষ অনুষ্ঠানে নিজের পোশাকের জন্য ফের বিতর্কের মুখে পড়লেন স্বরা।
গায়েহলুদ, মেহেন্দি, সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ছাড়াও একাধিক রিসেপশনের আয়োজন করেছিলেন নবদম্পতি। বরেলীতে ‘ওয়ালিমা’ অনুষ্ঠান দিয়ে শেষ হল স্বরা ও ফাহাদের বিয়ের উদ্যাপন। ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি এক পোশাকশিল্পীর বানানো লেহঙ্গার সেজেছিলেন স্বরা। সোনালি রঙের লেহঙ্গায় কাজ নীল ও গোলাপি সুতোর সূক্ষ্ম কাজ। ওই লেহঙ্গা পরে একাধিক ছবিও সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেন বলিউড অভিনেত্রী। সঙ্গে লেখেন, ‘‘লাহোর থেকে দুবাই-মুম্বই-দিল্লি হয়ে অবশেষে বরেলী! আমি বহু দিন যাবৎ আলি জ়িশানের কাজের ভক্ত। আমি যখন ওঁকে ফোন করে বলি যে, ওয়ালিমার অনুষ্ঠানে ওঁর পোশাক পরতে চাই, তখন ওঁর উদারতা আমাকে আরও অভিভূত করেছিল।’’
ওই ছবি পোস্ট করার পর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয় স্বরাকে। ভারতে এত নামীদামি পোশাকশিল্পী থাকতে কেন পাকিস্তানি শিল্পীর পোশাক পরলেন স্বরা? প্রশ্ন নেটাগরিকদের। অনেকে আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে পরামর্শ দেন, ‘‘বরেলীর কাছেই রামপুর নামক এক জায়গা আছে, সেখানে খুব সুন্দর পার্সি ঘাগরা পাওয়া যায়। পাকিস্তান থেকে কিনতে গেলেন কেন!’’ অনেকে আবার বিদ্রুপ করে এ-ও বলেন, পাকিস্তানের শিল্পীর কাছ থেকে পোশাক কিনে ও দেশের ডুবন্ত অর্থনীতিতে খুব সাহায্য করেছেন তিনি। অনেকে আবার স্বরার এই পদক্ষেপকে প্রচারে থাকার কৌশল বলেই কটাক্ষ করেছেন। তবে এক বিতর্ক সত্ত্বেও এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি স্বরা বা ফাহাদ কেউই।
বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব অনুষ্ঠানে দুই ধর্মের মিলনের বার্তা রেখেছেন স্বরা ও ফাহাদ। মেহেন্দির পোশাক থেকে সঙ্গীতের একাধিক শিল্পীর পারফরম্যান্স— সব ক্ষেত্রেই ছিল সম্প্রীতির ছোঁয়া। বিয়ের শেষ অনুষ্ঠানেও সেই নজিরই রাখলেন নবদম্পতি।