গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।
অনুসন্ধানের পঞ্চম দিনে ডিআরডিও গেস্টহাউজে সুশান্ত ঘনিষ্ঠ ছয় ব্যক্তিকে মুখোমুখি জেরা করল সিবিআই। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্তের পরিচারক নীরজ ও কেশব, সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, প্রাক্তন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রজত এবং বর্তমান অ্যাকাউন্ট্যান্ট সন্দীপ শ্রীধর।
শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের আর একটি দল মঙ্গলবার ফের কুপার হাসপাতালের চিকিৎসকদের বয়ান রেকর্ড করে। এই হাসপাতালেই সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল। একটি সূত্র বলছে, সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং সিদ্ধার্থ ও নীরজদের বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে পাশাপাশি,এ দিন মুম্বই পুলিশের দুই অফিসার ভূষণ বেলনেকর এবং বৈভব জগতাপকেও ডেকেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ মুম্বই পুলিশের এক অফিসারকে ডিআরডিও গেস্টহাউজে পৌঁছতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থকে ঢুকতে দেখা যায় সেখানে। এর পর একে একে নীরজ, কেশবকেও ঢুকতে দেখা যায় গেস্টহাউজে। এর আগে এই ছয়জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- রিয়া এবং মহেশ ভট্টের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন শত্রুঘ্ন সিনহা
এঁদের মধ্যে এই নিয়ে নীরজকে পাঁচ বার এবং সিদ্ধার্থকে চার বার ডেকে পাঠাল গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর ঘটনার তিন প্রত্যক্ষদর্শী নীরজ, কেশব এবং সিদ্ধার্থের বয়ানে ফারাত মেলায় বারেবারেই তাঁদের ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই। গতকালও সিদ্ধার্থকে টানা এগারো ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে সিবিআই। শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই সিবিআই ডেকে পাঠাতে পারে এফআইআরে মূল অভিযুক্ত সুশান্ত সিংহ রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। ডাক পড়তে পারে তাঁর পরিবারেরও।
অন্যদিকে একটি সূত্র বলছে, মাঝেমধ্যেই নাকি মাদক সেবন করতেন রিয়া। এক মাদক পাচারকারীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথাও হয়েছিল তাঁর। রিয়ার ফোন ঘেঁটে এমনই কিছু চ্যাট পেয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সিবিআইকে সে কথা জানিয়েছে ইডি। শোনা যাচ্ছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ডাক পড়তে পারে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর-ও। যদিও রিয়ার আইনজীবী এ কথা অস্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, রিয়া জীবনে কোনওদিন মাদক সেবন করেনি। প্রয়োজনে সে রক্তপরীক্ষা করাতেও প্রস্তুত।