সুশান্তকে নিয়ে মিম নেটমাধ্যমে
এক বছর হল সুশান্ত সিংহ রাজপুত নেই। ২০২০ সালের ১৪ জুন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতার মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছিল ভারতবাসী। হঠাৎ থেমে যায় সুশান্তের পথচলা। তোলপাড় হয়ে যায় সম্পূর্ণ টিনসেল নগরী। তাঁর মৃত্যুতে প্রযোজক-পরিচালক কর্ণ জোহর থেকে মহেশ ভট্ট, সলমন খান থেকে রিয়া চক্রবর্তী, সকলকে নিয়েই কাটাছেঁড়া করা হয় নেটমাধ্যমে। সুশান্তের অনুরাগীরা হ্যাশট্যাগে ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত সিংহ রাজপুত’ লিখে ভরিয়ে ফেলেন টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের দেওয়াল। কিন্তু এক বছর পরেও ধোঁয়াশা কাটেনি তাঁর মৃত্যু নিয়ে। তাই অভিনেতার মৃত্যুর এক বছর পর সুশান্তকে নিয়ে মিম বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
জনৈক নেটাগরিকের মিমে একাধারে ফুটে উঠেছে কৌতুক এবং বিচার না পাওয়ার আর্তিও। এখনও তাঁর অনুরাগীরা রাস্তায় নেমে তাঁর জন্য মিছিল করেন। সুশান্তের ছবি দিয়ে লেখা ‘আমি কি জাস্টিস পাব না, পাব না আমি জাস্টিস’। ছবির উপরের অংশে লেখা, ‘১ বছর হয়ে গেল তাও জাস্টিস পেলাম না’।
গত বছরের লকডাউন চলাকালীন একটি স্লোগান অতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, ‘আমরা কি চা খাব না, খাব না আমরা চা’। লক়ডাউনে সব দোকান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও একটি চায়ের দোকান খোলা ছিল। করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে এক মহিলা তাঁদের চা খেতে বারণ করছিলেন। সেখানে এক ব্যক্তি এই প্রশ্নটি করেছিলেন। নেটমাধ্যমের দৌলতে সেই প্রশ্ন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। স্লোগানে পরিণত হয়। সেই স্লোগানেই অন্য শব্দ বসিয়ে জনৈক নেটাগরিক মিম সুশান্তকে নিয়ে বানালেন।
মিমের পোস্টে নেটাগরিকদের মন্তব্য
পোস্টের মন্তব্য বাক্সে নেটাগরিকদের একাংশ এসে লিখেছেন, ‘হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল’। আবার কেউ সেই জনৈক নেটাগরিককে বলেছেন অপমানিত হওয়ার জন্য তৈরি থাকতে। কেউ আবার লিখেছেন, ‘নিজের বাড়ির কেউ মারা গেলে তার মৃত্যুদিনে সবাইকে মিম বানানোর জন্য প্রভাবিত করতে পারতিস।’ আবার অনেকে সুশান্তকে ‘মাতাল-লম্পট’ বলেছেন ও তাঁকে নিয়ে ‘আদিখ্যেতা’ করার বিরোধিতা করেছেন।