রিয়া চক্রবর্তী।
কোথায় আছেন রিয়া চক্রবর্তী? দু’দিন আগে সাদা সালোয়ার পরে, বিনা মেকআপে এক ভিডিয়োতে ‘ন্যায়বিচার পাবেনই’ বলে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। অথচ বিহার পুলিশের দাবি, খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের খবর, রিয়া যাতে দেশের বাইরে না যেতে পারেন সে জন্য নাকি লুকআউট নোটিস জারি করার কথাও ভাবছে বিহার পুলিশ।
রিয়ার ফ্ল্যাটের রক্ষী বলছেন, দিন কয়েক আগে গভীর রাতে এক বিশাল বড় সুটকেস নিয়ে নীল রঙের গাড়িতে চেপে নাকি চলে গিয়েছেন রিয়া। কিন্তু কোথায়? কোথা থেকেই বা তিনি সেই ভিডিয়োবার্তা দিলেন? বিহার পুলিশের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে বলেন, “রিয়া যে কোথায় রয়েছেন তা খুঁজে বের করাই মুশকিল হয়ে উঠেছে। কোনওরকম তথ্য ছাড়াই তিনি লুকিয়ে রয়েছেন। আমাদের টিম ওঁকে খুঁজে চলেছে।’’ পাণ্ডে আরও বলেন, রিয়া যেহেতু মুম্বইয়ের বাসিন্দা তাই তাঁর ব্যক্তিগত সোর্সও রয়েছে, তাঁরাই হয়তো লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করছেন রিয়াকে।
আরও পড়ুন- সেই চা-কাকুকে রাখির কী উপহার পাঠালেন মিমি?
এরই পাশাপাশি, বিহার পুলিশের যে দলটি মুম্বইয়ে রয়েছে, তাদের প্রধান আইপিএস অফিসার তথা পটনা পূর্বের পুলিশ সুপার বিনয় তিওয়ারি মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন। তাঁর বক্তব্য, সুশান্ত-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মুম্বই পুলিশ কোনওরকম তথ্য দেয়নি বিহার পুলিশকে। দুই টিমের মধ্যে যে যথাযথ যোগাযোগই হচ্ছে না, সে কথাও জানিয়েছেন বিনয়। শুধু মুম্বই পুলিশের উপরেই নয়, বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-এর বিরুদ্ধেও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলল বিহার পুলিশ। ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডের অভিযোগ, চার সদস্যের ওই দলটি মুম্বই যাওয়ার পর বিনয়কে জোর করে কোয়রান্টিনে পাঠিয়েছে বিএমসি।
আরও পড়ুন- বাড়ি বদলালেন দ্বারকানাথ, সেট বদলালো ‘কাদম্বিনী’
খুব শীঘ্রই বিহার থেকে এক মহিলা আইপিএস অফিসারকে মুম্বইয়ে পাঠাতে পারে বিহার পুলিশ
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বোন শ্বেতা। তিনি লেখেন, “এক জন অন ডিউটি অফিসারকে কী করে ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে পাঠানো যায়? খুবই লজ্জাজনক।’’অন্য দিকে রিয়া প্রসঙ্গে তিওয়ারি বলেন, “এখনই রিয়াকে গ্রেফতার করার প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করছি।’’তবে প্রয়োজনে রিয়াকে তাদের হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। বিভিন্ন সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই বিহার থেকে এক মহিলা আইপিএস অফিসারকে মুম্বইয়ে পাঠাতে পারে বিহার পুলিশ।
পাশাপাশি, গত ১৪ জুন যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক সুশান্তের দেহ নামিয়ে গাড়িতে তুলেছিলেন তাঁর বক্তব্যও বেশ চাঞ্চল্যকর। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, তিনি নিজেই সুশান্তের দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে রেখেছিলেন। তাঁকে নিযুক্ত করেছিল মুম্বই পুলিশ। ওই ব্যক্তি আরও জানান, এর পর থেকেই নাকি বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি ফোন পেতে শুরু করেছেন তিনি। যদিও কারা এই কাজ করছেন সে ব্যাপারে তিনি জানেন না বলেই জানিয়েছেন ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক। যদিও অ্যাম্বুল্যান্সের মালিক দাবি করেন, তাঁর ড্রাইভার নয়, মুম্বই পুলিশই সুশান্তের দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেয়।