বাঁ দিকে সুশান্তের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং ডান দিকে সুশান্ত সিংহ রাজপুত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়।বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। সুশান্তের মৃতদেহ তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্স চালক নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। তাঁর দাবি, অ্যাম্বুলেন্সে সুশান্ত জীবিত ছিলেন। একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে তিনি জানান, যাঁরা সুশান্তের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে ফোন করেছিলেন তাঁরা ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছিলেন। তাঁর দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময় সুশান্ত জীবিত ছিলেন। তিনি নাকি দেখেছেন, অভিনেতার দেহ হলুদ হয়ে গিয়েছিল। ওই চালকের দাবি , সাধারণত আত্মহত্যা করলে মৃতের শরীর পুরো হলুদ হয়ে যায় না।
অ্যাম্বুল্যান্সের চালক অক্ষয় ভান্ডগরের প্রশ্ন,“যে মানুষ আত্মহত্যা করেছেন তাঁর পা মোড়া থাকবে কেন?” তিনি জানান সুশান্তের পায়ের নানা জায়গায় থেঁতলে যাওয়ার মতো আঘাত দেখেছেন।তাঁর আরও প্রশ্ন:আত্মহত্যা করলে এই দাগ কেন থাকবে? অ্যাম্বুল্যান্সের চালক অক্ষয়েরএই বক্তব্য সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নিঃসন্দেহে উত্তাপ বাড়াল। ভান্ডগর জানান, অ্যাম্বুল্যান্সে আত্মহত্যা করা বহু মানুষের মৃতদেহ তিনি দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই তাঁর মনে হয়েছে এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয়।
আরও পড়ুন- রিয়াকে ফের ডাকল ইডি, রাতভর জেরা ভাই শৌভিককে
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃতদেহ নামিয়ে দিয়ে আসার পর থেকেই তিনি হুমকি ফোন পাচ্ছেন বলে আগে মুম্বইয়ের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি। কে বা কারা তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন, তা জানা না থাকলেও একটি আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোন করা হচ্ছিল তাঁকে।কয়েক দিন আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন অক্ষয় ভান্ডগর। যেখানে তিনি দাবি করেন, সুশান্তের মৃতদেহ বহনের জন্য মুম্বই পুলিশের তরফে ফোন করা হয় তাঁকে। পুলিশের ফোন পেয়ে এসএসআর-এর মৃতদেহ বহন করেন নিজের অ্যাম্বুল্যান্সে করে।
তবে নেটাগরিকদের একাংশের বক্তব্য, সুশান্ত জীবিত জেনেও তিনি তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না কেন? পুলিশও দেখেছিল, অভিনেতার আঙুল নড়ছে। তা সত্ত্বেও কেন তাঁর মুখে চাদর চাপা দিয়ে দেওয়া হল? শ্বাস নিতে যাতে আরও কষ্ট হয়?
অ্যাম্বুল্যান্স চালকের এই নয়া দাবি সুশান্ত তদন্তে এ বার অন্য মাত্রা যোগ করল।