গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
অনুসন্ধানের সপ্তম দিনেও মুম্বইয়ের মাটিতে সকাল থেকে তৎপর সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালেই ডিআরডিও গেস্টহাউজে সৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সৌভিক ছাড়াও এ দিন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং পরিচারক নীরজকেও জেরা করে গোয়েন্দা সংস্থাটি। পাশাপাশি রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকেও এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সূত্রের খবর, ইডি দফতরে উপস্থিত ছিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর দলটিও।
বৃহস্পতিবার সকালে সান্তাক্রুজের ডিআরডিও গেস্টহাউজে পৌঁছতে দেখা যায় সৌভিককে। সেখানেই সিদ্ধার্থ, নীরজ এবং সৌভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর। অনুসন্ধানের প্রথম দিন থেকেই নীরজকে জিজ্ঞাসবাদ করছে সিবিআই। প্রথম দিন বাদ দিয়ে এখনও পর্যন্ত বাকি সব দিনই ডাক পড়েছে সিদ্ধার্থরও। অন্যদিকে,এ দিন বান্দ্রায় নিজের বাড়ি থেকে ইডি’র অফিসে যাওয়ার সময় ‘মব লিঞ্চিং’-এর শিকার হন রিয়ার বাবা। পরে মুম্বই পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে চক্রবর্তী পরিবারের যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে সে ব্যাপারে বিশদে জানতে ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে নিয়েই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কটিতে যান ইডি’র কর্তারা। এর পর ইডি অফিসে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর সামনে ফের জিজ্ঞাসবাদ করা হয় তাঁকে।
গতকালই সুশান্তের মৃত্যুরহস্যে মাদক সেবনের যে নতুন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে তার অনুসন্ধান করতে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মুম্বইয়ের একটি দল কথাবার্তা বলেছিল ইডি’র সঙ্গে। সংবাদ সংস্থার খবর,এ দিন দিল্লি থেকে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোরপাঁচ সদস্যের একটি দল মুম্বই উড়ে এসেছে। রিয়া মাদক নেন কি না তা নিশ্চিত করার জন্য শীঘ্রই তাঁর রক্তপরীক্ষা করা হবে বলে খবর। বিশেষ সূত্র বলছে, রিয়ার প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া শাহকেও এর মধ্যে আবার জেরা করতে পারে ইডি। বুধবারই তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করেছিল ইডি। পাশপাশি, খোঁজ চলছে গৌরবেরও। গৌরব মুম্বইয়ের একজন মাদক পাচারকারী। তাঁর সঙ্গে ড্রাগ কেনাবেচা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে। জয়া লিখেছিলেন রিয়াকে, “সুশান্তের চায়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দাও।” কী মেশাতে বলেছিলেন জয়া সে নিয়েও ঘনাচ্ছে রহস্য।
অন্যদিকে রিয়া এক সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, প্লেনে উঠলেইনাকিসুশান্তেরদমবন্ধ হয়ে আসত। সে জন্য তিনি ওষুধ খেতেন। রিয়ার এই দাবি নস্যাৎ করে সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে,‘বোয়িং ৩৭৭’ নামে এক ফিক্সড বেস ফ্লাইট চালাচ্ছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অঙ্কিতার প্রশ্ন, যে ছেলে ফ্লাইটে উঠতে ভয় পাবে, ভয় কাটানোর ওষুধ খাবে, সে ফ্লাইট চালাবে কী করে?
অঙ্কিতার পোস্ট
Is this #claustrophobia ? u always wanted to fly and u did it .😊
A post shared by Ankita Lokhande (@lokhandeankita) on