গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
মুম্বই পৌঁছে প্রথমেই কি রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করতে চলেছে সিবিআই? একটি সূত্রে সে রকমটাই জানা যাচ্ছে। বুধবারই সুপ্রিম কোর্ট সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অপমৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে । জানা গিয়েছে, মুম্বই পৌঁছে সুশান্তের ফ্ল্যাটে গিয়ে অভিনেতার মৃত্যুর দিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে সিবিআই। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশের কাছে যাবতীয় নথি এবং কেস ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছে তারা। একটি সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার রাতেই মুম্বই পৌঁছতে পারে সিবিআইয়ের দলটি।
এই ঘটনার তদন্তে পনেরো সদস্যের যে দল গড়েছে সিবিআই, সেই দলে রয়েছেন ছ’জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। আর একটি সূত্র বলছে, মুম্বই পৌঁছেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করবে সিবিআই।সুশান্ত-কাণ্ডের যাবতীয় নথি এবং কেস ডায়েরি যাচাইয়ের দায়িত্ব থাকবে একটি দলের উপর। অন্য একটি দল রিয়া এবং তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে বলিউডের আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং 'মুভি মাফিয়া'দের কোনও যোগ রয়েছে কি না সে বিষয়ে আর একটি দল অনুসন্ধান চালাবে। মুম্বই পুলিশের দুই ডেপুটি কমিশনার ত্রিমুখে এবং দাহিয়াকেও সিবিআই জিজ্ঞাসবাদ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। রিয়ার কলরেকর্ড থেকে আগেই সন্ধান মিলেছে, সুশান্তের মৃত্যুর পর বেশ কয়েকবার ত্রিমুখের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে অভিনেত্রীর।
এরই পাশাপাশি,বৃহস্পতিবার প্রায় সাত ঘণ্টা পরিচালক রুমি জাফরিকে জেরা করে ইডি। রুমির সঙ্গে সুশান্ত এবং রিয়ার একটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। রুমিকে এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বিহার পুলিশ।
আরও পড়ুন- মুম্বই মাফিয়াদের চাপে সুশান্তের গভীর প্রেম থেকে সরে আসতে বাধ্য হন সারা, বিস্ফোরক স্যামুয়েল
সিবিআইয়ের যে দলটি মুম্বই আসছে তাদের ‘হাইপ্রোফাইল’ দল বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করেছেন এই দলের সদস্যরা। এর মধ্যে রয়েছেন শশী তারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুস্করের মৃত্যুরহস্যের তদন্তে সামিল হওয়া ফরেন্সিক ডাক্তার সুধীর গুপ্ত। এ ছাড়াও রয়েছেন সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা মনোজ শশীধর। অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারি,বিজয় মাল্য মামলার মতো চাঞ্চল্যকর মামলায় সামিল ছিলেন তিনি। রয়েছেন ডিআইজি গগনদীপ গম্ভীর। সৃজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেলেঙ্কারির তদন্তভার এবং অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তেও ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও রয়েছেন এসপি নূপুর প্রসাদ। মাল্য মামলার টিমে তিনিও ছিলেন। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুশান্ত মামলায় নেতৃত্ব দিতে চলেছেন নূপুরই।
বৃহণ্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) তরফে জানানো হয়েছে, বিহারের আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারির মতো সিবিআইয়ের ওই দলটিকে মুম্বই পৌঁছনোর পর নিভৃতবাসে পাঠানো হবে না।