ব্যাঙ্কক ট্রিপে টানা তিন দিন হোটেল থেকে বের হননি সারা-সুশান্ত!

সারা আলি খানের সঙ্গে ব্যাঙ্কক ঘুরতে গিয়েছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত! তিন দিন হোটেল থেকে বের হতেও দেখা যায়নি তাঁদের।এ বার প্রকাশ্যে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ১৯:৩২
Share:

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ ।

সারা আলি খানের সঙ্গে ব্যাঙ্কক ঘুরতে গিয়েছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত! তিন দিন হোটেল থেকে বের হতেও দেখা যায়নি তাঁদের।এ বার প্রকাশ্যে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রকাশ করলেন সুশান্তের প্রাক্তন সহযোগী সাবির আহমেদ।

Advertisement

সাবির যে দাবি করেছেন তা থেকে জানা যাচ্ছে, ছয় বন্ধুর সঙ্গে ২০১৮-র ডিসেম্বরে ব্যাঙ্কক গিয়েছিলেন অভিনেতা। ওই ছয় বন্ধু হলেনকুশাল জাভেরি, সিদ্ধার্থ গুপ্ত, আব্বাস, মুস্তাক, সাবির নিজে এবং সুশান্ত। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবির বলেন, ওই বয়েজ ট্রিপে সুশান্তের তৎকালীন ‘রিউমারড’ প্রেমিকা সারা আলি খানও শরিক হন। তাঁকে নিয়ে মোট সাতজন।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে রিয়ার বয়ানে উঠে এসেছিল এই ব্যাঙ্কক ট্রিপের কথা। রিয়া বলেছিলেন, ওই ট্রিপে গিয়েই নাকি দেদার খরচ করেছেন সুশান্ত। গিয়েছেন প্রাইভেট জেটে। এমনকি, বন্ধুদের যাবতীয় খরচও তিনিই দিয়েছেন। ওই ট্রিপে শামিল সাবিরও রিয়ার কথার সমর্থনে বলেছেন, তাঁরা গিয়েছিলেন প্রাইভেট জেটেই। এক বিলাসবহুল হোটেলেও উঠেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন- মুম্বই মাফিয়াদের চাপে সুশান্তের গভীর প্রেম থেকে সরে আসতে বাধ্য হন সারা, বিস্ফোরক স্যামুয়েল

তবে সাবিরের বক্তব্য, ট্রিপের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সাত জনের মধ্যে পাঁচ জন ফিরে এসেছিলেন দেশে। থেকে গিয়েছিলেন তিনি এবং সুশান্তের প্রাক্তন দেহরক্ষী মুস্তাক। কেন? সাবির জানিয়েছেন, “সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছিল। তাই সবাই ফিরে যেতে চাই। কিন্তু সবার টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না। আমিআরমুস্তাকথেকেযাই।সুশান্ত আমাদের ওর এটিএম কার্ড দিয়ে যায়। টাকা ফুরিয়ে গেলে সুশান্তের বন্ধু স্যামুয়েল আমাদের টাকা পাঠায় মুম্বই থেকে।”

আরও পড়ুন- রিয়া মিথ্যা বলছে, আমার সঙ্গে সুশান্তের কোনও যোগাযোগ ছিল না: অঙ্কিতা

সাবিরের দাবি,ব্যাঙ্কক পৌঁছে প্রথম দিন সবাই মিলে বিচে ঘুরলেও এর পরে কার্যত নিজেদের হোটেলবন্দি করে নেন সারা ও সুশান্ত। কেন? পাপারাৎজির ভয়? জানাননি সাবির। এর আগে সারা-সুশান্তের প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন স্যামুয়েলও। সুশান্তকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন স্যামুয়েল। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, 'কেদারনাথ' ছবির সময়েই নাকি সারা-সুশান্ত একে অন্যের প্রেম হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “সারা শুধু সুশান্ত নয়, সুশান্তের পরিবার, বন্ধু, এমনকি তাঁর স্টাফেদের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল ছিল।আমি অবাক হয়েছি সারা যখন এই সম্পর্ক ভেঙে চলে আসে। আমার মনে হয় বলিউড মাফিয়ারাই সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে বাধ্য করেছিল সারাকে।”

সুশান্ত কাণ্ডে সাবিরের দেওয়া এই নয়া তথ্য নিঃসন্দেহে রহস্য আরও ঘনীভূত করল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement