সুশান্ত।
খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাকি আত্মহত্যা? কীভাবে মারা গিয়েছিলেন সুশান্ত? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তা বোঝার উপায় নেই... এমনটাই অভিযোগ সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিংহের। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বিকাশ জানান, সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। তাতে কোথাও উল্লেখ নেই সুশান্তের মৃত্যুর সময়। কী করে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য রিপোর্ট থেকে বাদ হয়ে গেল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ওই আইনজীবী।
বিকাশের কথায়, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সময় উল্লেখ থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আমার কাছে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে কোথাও সুশান্তের মৃত্যুর সময়ের কোনও উল্লেখ নেই। সুশান্তকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিন নাকি সে আত্মহত্যা করেছিল, মৃত্যুর সময় দেখেই তা স্পষ্ট ভাবে জানা যেত। মুম্বই পুলিশ এবং কুপার হাসপাতালকে এর জবাব দিতে হবে, আর সে কারণেই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন।”
মুম্বই পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “মুম্বই পুলিশ যথেষ্টই পেশাদার, কিন্তু সেখানে রাজনীতি প্রবেশ করলেই সেই পেশাদারিত্ব আর বজায় থাকে না, এই হাই প্রোফাইল মামলায় রাজনৈতিক নেতারা প্রবেশ করাতেই অসুবিধে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন- ‘ঘরের ছেলে কতটা অবসাদে, খবর রাখেন?’ সড়ক ২ নিয়ে যিশুর সমর্থনে রাহুল
অন্যদিকে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে ৬২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন সুশান্ত। সেখান থেকে তারা আবার ২২ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে। ওই সংস্থার সঙ্গে সুশান্তের আড়াই কোটি টাকার একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তে অসম থেকে তামিলনাড়ু দেশের সর্বত্র অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু চুক্তি পাকা হওয়ার আগেই তা ভেস্তে যায়। কেন ২২ লক্ষ টাকা ওই সংস্থা থেকে রিয়ার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে তা নিয়েও অনুসন্ধান চালাচ্ছে ইডি।