রিয়া।
সুশান্ত কাণ্ডে আবারও প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুশান্ত কাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী, করণী সেনার সদস্য এবং যুবনেতা সুরজিৎ সিংহ এমন কিছু কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন যা এত দিন অন্তরালেই ছিল। সুশান্তের মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকবার কী বলেছিলেন রিয়া?
সুরজিতের বয়ান অনুযায়ী, দিনটা ১৫ জুন। মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গে শায়িত রয়েছে সুশান্তের নিথর দেহ। সুরজিৎ পৌঁছনোর আধ ঘণ্টা পর গাড়িতে ভাই শৌভিক এবং মা সন্ধ্যার সঙ্গে রিয়া হাসপাতালে আসেন। আইনত নিষেধ থাকলেও রিয়াকে সেদিন হাসপাতালের মর্গে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। সুরজিৎ বলেন, তিনিই সুশান্তের নিথর দেহ প্রথম রিয়াকে দেখান। সুরজিতের দাবি, সুশান্তের মৃতদেহ দেখামাত্রই অভিনেতার বুকে হাত দিয়ে রিয়া বলতে শুরু করেন, ‘সরি বাবু’। এর পরেই নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়া। সুরজিতের প্রশ্ন, সুশান্তকে দেখা মাত্রই কেন ‘সরি’ বলতে শুরু করেন রিয়া? অনুশোচনা, নাকি অন্য কোনও জটিল রহস্য?
মহেশের সঙ্গে রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বলছে, রিয়া-সুশান্তের বিচ্ছেদ হয় গত ৮ জুন। ওই দিনই সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছাড়েন রিয়া। রিয়ার কল রেকর্ড বলছে, এর পর থেকে অভিনেতার মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তাঁদের দু’জনের আর কোনও কথা হয়নি। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মৃত্যুর আগের রাতে রিয়াকে নাকি ফোন করেছিলেন সুশান্ত। রিয়া ধরেননি। তবে কি সে কারণেই বারবার ‘সরি’ বলছিলেন রিয়া? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- যিশু আর আমাকে লড়িয়ে দিতে চেয়েছেন অনেকেই: আবির.
আরও পড়ুন- সুশান্তের মৃত্যুর দিন রিয়াকে হোয়াটসঅ্যাপে কী লিখেছিলেন মহেশ? প্রকাশ্যে চ্যাট
সুরজিৎ আরও বলেন, শৌভিক এবং রিয়ার মা মর্গে প্রবেশ করতে চাইলেও মুম্বই পুলিশ তাঁদের ঢুকতে দেয়নি। যদিও সুরজিতের সন্দেহের তির সুশান্তের আর এক বন্ধু সন্দীপ সিংহের দিকে। তাঁকে অবিলম্বে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হোক, দাবি তাঁর। তাঁর অভিযোহ, গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সন্দীপ।
একই সঙ্গে উঠেছে পাল্টা প্রশ্নও। রিয়ার পাশপাশি আইনত সুরজিৎও মর্গে ঢুকতে পারেন না। তিনি কেন গিয়েছিলেন রিয়ার সঙ্গে, সে প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। যদিও সুরজিতের দাবি, তাঁর দলের পক্ষ থেকেই তাঁকে সেখানে যেতে বলা হয়েছিল। রিয়া যাতে শেষবার সুশান্তের মুখ দেখতে পারেন তার ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয়েছিল।