(বাঁ দিকে) সুপ্রিয় দত্ত। ব্রাত্য বসু। —ফাইল ছবি।
একের পর এক পুরস্কার প্রত্যাখ্যান। মঙ্গলবার বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় ‘অসামান্য অবদানের জন্য’ রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘বিশেষ পুরস্কার’ ফিরিয়ে দিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও সুদীপ্তা ভরসা পেয়েছিলেন নাট্যকার চন্দন সেনকে দেখে। নাট্যক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার’ ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তিনিই প্রথম পুরস্কার প্রাপক যিনি সরকারি পুরস্কার ফেরাতে চেয়েছেন। ‘দায় আমাদেরও’ নাটকটির জন্য পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির তরফে সেরা নির্দেশকের পুরস্কার পান বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, মঙ্গলবার তিনিও সেই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে নাট্য অ্যাকাডেমিতে ইমেল করেছেন। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত আরও এক। তিনি নাট্যাভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত। ২০২১ সালে তিনি ‘পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার’ পেয়েছিলেন বিশেষ চরিত্রে অভিনেতা জন্য। সঙ্গে ছিল ১০,০০০ টাকা পুরস্কার মূল্য। সে সবই ফেরাতে চাইছেন তিনি। ৫ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারকে ইমেল করে দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্রাত্য বসুর করা মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
সুপ্রিয় দত্ত বললেন, ‘‘আসলে বিপ্লব আমাকে রাস্তাটা দেখাল। আমাকে পুরস্কারটা ভালবেসেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন অবশ্য সেটা রাখার যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। আসলে এই সরকার যা কিছু হয় চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। সেটা কেন হবে? আর ‘ফোঁস’ করার মন্তব্যটা বুঝিনি। ফোঁস করতে হবেই বা কেন? সব কিছুতেই ফসকে বেরিয়ে যাবে তা হতে পারে না। আমি তো অনেক পরে প্রতিবাদ করলাম, মানুষ তো ১৪ তারিখ থেকে রাস্তায়।’’
কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে বহু ছবি ও নাটকে অভিনয় করেছেন সুপ্রিয়। তাঁর এই পুরস্কার ফেরানোর নেপথ্যে উত্তরপাড়ার বিধায়কের ‘বোনাস বিতর্ক’ও ইন্ধন জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। সুপ্রিয় বলেন, ‘‘ওকে আসলে কেউ বাধা দিচ্ছে না। যা খুশি তাই বলছে। ও শেক্সপিয়র করেছে, তার কাছে এমন শুনতে হবে! খালি মনে হচ্ছে, এটা বোধ হয় আমার কাছে রাখা ঠিক নয়। খুব গ্লানিতে ভুগছি, গ্লানিমুক্ত হতে চাই।’’
এই পুরস্কার প্রত্যাখানের ঘটনায় রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার হলে কি প্রাপকেরা সেটা ফেরাতেন? এই প্রসঙ্গে সুপ্রিয় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার পুরস্কার দেননি, দিলে ফিরিয়ে দিতাম। ভবিষ্যতে পুরস্কার দিলে নেব না।’’