শুধু পর্দাতেই নয়। বাস্তবজীবনেও সানি দেওলের ‘না’ মানে ‘না’। সেটা কখনও ‘হ্যাঁ’-এ রূপান্তরিত হয় না। ১৯৯৩ সালে ‘ডর’-এর শুটিংয়ের সময় যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে ঝামেলা বাধে তাঁর। সানির মনে হয়েছিল, তাঁর তুলনায় সেই ছবির চিত্রনাট্যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল নবাগত শাহরুখ খানকে। এর পর আর কোনও দিন তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হননি সানি । তার জন্য স্বপ্নের প্রজেক্ট হাতছাড়া হলেও।
২০০৫-এ সানি একটি ছবির পরিকল্পনা করছিলেন। এটা ছিল তাঁর স্বপ্নের প্রজেক্ট। নায়িকা হিসেবে সানি বেছেছিলেন ঐশ্বর্যা রাইকে। পরিচালনার ভার দিয়েছিলেন চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীকে। যিনি ‘চাণক্য’ পরিচালনা করেছিলেন।
ধর্মেন্দ্রপুত্রের স্বপ্নের এই প্রজেক্ট ছিল পৃথ্বীরাজ চহ্বনকে নিয়ে। ঐতিহাসিক পটভূমির এই ছবির পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে তাঁর দরজার সামনে প্রয়োজকদের ভিড় জমে গিয়েছিল। সবার আগে ছবির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল যশরাজ ফিল্মস।
সবার আগে কাহিনির সত্ত্ব কিনে নিতে সমস্যা হল না যশরাজ ফিল্মসের। চোপড়া পরিবার ভেবেছিল তাদের উপর জমে থাকা রাগ ভুলে গিয়েছেন সানি। সুতরাং তিনি এই ছবি তাঁদের ব্যানারে করতে নারাজ হবেন না।
কিন্তু এই খবর শোনা মাত্র বেঁকে বসলেন সানি দেওল। জানিয়ে দিলেন, তিনি যশরাজের সঙ্গে এই করবেন না। যতই তাঁর স্বপ্নের প্রজেক্ট হোক না কেন, সানির মত পরিবর্তন হল না। কারণ তিনি জানালেন, ‘ডর’ ছবির সময়কার পুরনো রাগ তিনি ভুলতে পারেননি।
সানি মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরে এই ছবির পরিকল্পনা ধামাচাপা পড়ে যায়। কারণ সানির প্রত্যাখ্যান করা ছবি কেউ নিতে চায়নি। পরে অক্ষয়কুমার রাজি হন এই ছবিতে অভিনয় করতে।
অনেক ভেবে অক্ষয়কুমারকেই চূড়ান্ত করে যশরাজ ফিল্মস। কারণ তাঁদের মনে হয়েছিল, সানি ও অক্ষয়ের পারিবারিক সম্পর্ক ভাল হওয়ার কারণে অক্ষয় যদি পৃথ্বীরাজের ভূমিকায় অভিনয় করেন, সানি রুষ্ট হবেন না।
২০১৯-এ পৃথ্বীরাজ চহ্বান ছবির কথা ঘোষণা করে যশরাজ ফিল্মস। ১৪ বছর পরে অবশেষে দিনের আলোর মুখ দেখে এই পিরিয়ড মুভির পরিকল্পনা।
তবে সময়ের ব্যবধান হলেও মিল রয়েছে একটি বিষয়ে। ২০০৫-এ এই ছবির জন্য ভাবা হয়েছিল ঐশ্বর্যা রাইকে। ১৪ বছর পরেও এই ঐতিহাসিক ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় ভাবা হয়েছে আর এক বিশ্বসুন্দরীকেই।
‘পৃথ্বীরাজ চহ্বন’ ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন মানুষী চিল্লর। তিনি ২০১৭ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ -এর শিরোপা বিজয়িনী হয়েছিলেন।
অবশেষে প্রায় দেড় দশকের জটিলতা কাটিয়ে শুটিং ফ্লোরে পৌঁছতে চলেছে দ্বাদশ শতকের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সম্রাটের বায়োপিক।