অগ্নিদেবের সঙ্গে সুদীপা
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। আমজনতার কাছে ‘রান্নাঘরের সুদীপা’। স্বামী অগ্নিদেবের সঙ্গে তাঁর ভালবাসা দশে পড়ল আজ। আবেগঘন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আদরের অগ্নির জন্য লিখলেন সুদীপা।
সুদীপা লিখছেন, "দশটা বছর যে কোথা দিয়ে কেটে গেল টেরই পেলাম না। এখনও মনে হয় এই তো সে দিন তুমি আমাকে লাঞ্চে ডাকলে...কাছে এলাম... দশ দশটা বছর চলে গ্যালো, একটা দিনের জন্যও তোমার ওপর অভিমান করে, বাপের বাড়ী বা অন্য কোথাও যাইনি। নাহ্! একটা দিনও না।"
২০১৭ সালে ঘরোয়া ভাবেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন সুদীপা এবং অগ্নিদেব। প্রেমটা যদিও তারও আগের। আর চেনা শোনা? অনেক পুরনো। উত্তর কলকাতায় ছিল সুদীপার বাপের বাড়ি। একান্নবর্তী পরিবার। টলিউডের কাজের সূত্রেই আলাপ হয় অগ্নিদেবের সঙ্গে। আলাপ গড়ায় প্রেমে। দীর্ঘ প্রেমের পর তিন বছর আগে তাতে লাগে আইনি সিলমোহর। ২০১৮তে আসে ছেলে আদি। সুদীপার এখন ভরা সংসার।
সুদীপার কথায়, "একটা মজার ব্যাপার হল- তোমার আগে, তোমাকে ছাড়া যে একটা জীবন ছিল, সেটা কেমন যেন ঝাপসা...সে পথে সব কিছু আবছায়ার মতো... আজও তোমার সামনে কথাগুলো বলার সাহস পাই না বলে- সর্বসমক্ষে লিখে জানাতে হল।"
লোকে আদিখ্যেতা বলে মুখ বেঁকালেও সুদীপার যায় আসে না। তিনি বলছেন, নিজের স্বামীকে নিয়ে আদিখ্যেতা করব না তো কাকে নিয়ে করব? সুদীপার সঙ্গে যে কোনও প্রসঙ্গে কথা হলেই ঘুরে-ফিরে আসে তার স্বামী-সন্তানের প্রসঙ্গ। আদ্যোপান্ত সংসারী মানুষটার জীবন আবর্তিত হয় ওঁদের ঘিরেই। তাই আজও অগ্নি ঘুমোলে সুদীপা ভাবতে থাকেন, ‘এ কি সত্যি? স্বপ্ন নয় তো?’
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে তাঁদের নিয়ে ট্রোল হয়েছে। বারেবারেই এসেছে অগ্নি এবং সুদীপার বয়সের ফারাকের প্রসঙ্গ। তাতে যদিও বিশেষ পাত্তা দেননি ওঁরা। বিশেষ দিনে তাই বরকে সুদীপা বলছেন, "তোমার আগে কিছু ছিল না, আর তোমার পরেও থাকবে না। আমার সব থেকে বেশি গর্ব হয় বলতে যে আমি তোমার ‘বউ’,আর তুমি আমার ‘বর’। এ ছাড়া আর কিচ্ছু নেই।"