সপরিবারে রাজ চক্রবর্তী।
অবশেষে রাজনীতির রং লাগল বছর দেড়েকের ইউভান চক্রবর্তীর গায়েও!
মাত্র চার দিনের ছুটি। সপরিবারে রাজস্থানে রাজ চক্রবর্তী। সেখানে আজমের শরিফ দরগায় গিয়েছেন চাদর চড়িয়ে আশীর্বাদ নিতে। সেই সময় নিয়ম মেনে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় মাথা ঢেকেছেন ওড়নায়। রাজ আর ইউভানের মাথায় ফেজ। মসজিদ চত্বরে তাঁরা সময়ও কাটিয়েছেন কিছু ক্ষণ। সেই ছবি বিধায়ক-পরিচালক-প্রযোজক রবিবার পোস্ট করেছেন।
সোমবারেই রাজ-পরিবারকে নিয়ে কটাক্ষের বানভাসি। দরগায় তাঁদের প্রার্থনার পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য। অবাক কাণ্ড, কটাক্ষকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি রাজের বছর দেড়েকের এক মাত্র সন্তানও!
কটাক্ষকারীরা নিজেদের বিজেপির সমর্থক বলে দাবি করেছেন। তাঁরা আইএসঅফ নেতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ছবির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন রাজ-ইউভান-শুভশ্রীর ছবি। যেখানে দেখা গিয়েছে সিদ্দিকি যেন রাজকে আন্তরিক অনুরোধ জানিয়ে বলছেন, ‘ভাই ছেলেকে নিয়ে এসেছি। ওকে তোর মতো ধর্ম নিরপেক্ষ বানিয়ে দে!’ অর্থাৎ, রাজের ধর্মনিরপেক্ষতায় তিনি যেন আপ্লুত! তাই তিনিও তাঁর ছেলেকে নিয়ে আসবেন। রাজও সেই ছেলেকে ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ পড়াবেন। সিদ্দিকির মুখে এই বক্তব্য বসিয়ে তাঁর পরিবর্তে রাজের মুখে বক্তব্য বসানো হয়েছে, ‘ভাত দে!’ এই খবর রাজের কানেও গিয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বিধায়কের কথায়, ‘‘এই তো আমাদের বর্তমান সমাজ। আমাদের শিক্ষা, রুচি, সংস্কৃতি।’’ সরাসরি তোপ দেগেছেন বিরোধী পক্ষের দিকে, বাংলাকে রসাতলে পাঠাচ্ছে পদ্ম শিবির।
রাজের আরও দাবি, ‘‘বাংলার মানুষ হিসেবে হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষ পরিবেশে মানুষ হয়েছি। সব ধর্ম সমান আমার চোখে। সব ধর্মীয় স্থানে যাই। কোথায় যাব, কী খাব, কী পরব--- তাই নিয়ে কোনও দিন কাউকে কৈফিয়ৎ দিইনি। আগামী দিনেও দেব না। বিজেপি আমাদের সমস্ত স্বাধীনতা এই ভাবে কেড়ে নিতে চলেছে!’’ একই সঙ্গে আক্ষেপ, এক রত্তি ইউভানকেও ছাড়ল না ওরা! মানসিক বিকৃতি না হলে কেউ এই ধরনের মিম বানাতে পারে! পরিচালক জানিয়েছেন, সব দেখে শুনে করুণা হচ্ছে এই ধরনের মানুষের জন্য। ধর্মের জিগির তুলে বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে পদ্ম শিবির। যা কোনও দিন সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে তিনি ভয় পাচ্ছেন বাংলার মানুষদের জন্য। বিরোধী দলের সৌজন্যে তাঁদের না জানি আরও কত, কী দেখতে হবে!