শ্রুতির ভূমিকায় রোশনি
শ্রুতির মুখখানা যেমন সুন্দর তেমনই তার গানের গলা। কিন্তু তার জীবনটা শুরু হতে না হতেই নেমে এল অন্ধকার। অ্যাসিড আক্রান্ত হল সে! এ বার অ্যাসিডে পোড়া মুখ সে কি লুকিয়ে রাখবে সমাজের কাছ থেকে, না কি মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার লড়াইটা চালিয়ে যাবে?
উত্তর পাওয়া যাবে ‘আলোয় ভুবন ভরা’ ধারাবাহিকে। শ্রুতির চরিত্রে অভিনয় করছেন রোশনি ভট্টাচার্য। এর আগে তিনি কাজ করেছেন ‘প্রেমের কাহিনি’-তে। এই রকম একটা চরিত্র নির্বাচনের কারণ? ‘‘এই বিষয়টা নিয়ে আগে কোনও ধারাবাহিক হয়নি। বিষয়টা আমাকে খুব প্রভাবিত করেছে। সকলেই তো চান প্রধান চরিত্রে তাঁকে যেন সুন্দর দেখতে লাগে। কিন্তু এখানে প্রথম থেকেই শ্রুতির অ্যাসিডে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া মুখই দেখানো হয়েছে।’’ কোনও আক্রান্তের সঙ্গে আপনি কথা বলেছেন? ‘‘হ্যাঁ। তিনি সঞ্চয়িতাদি, যাঁর উপর চার বছর আগে অ্যাসিড আক্রমণ হয়েছিল। শুনেছি তিনি আমাকে গাইড করার জন্য সেটে থাকবেন,’’ বললেন রোশনি। শুধু ক্যামেরার পিছনে নয়, কিছু দৃশ্যেও দেখা যাবে সঞ্চয়িতাকে। জীবনে যখন এই অঘটন ঘটল, তখন কি ভেবেছিলেন একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করবেন?
‘‘আমার বিকৃত মুখ দেখে প্রথমে অনেকে কুকথা বলেছেন। কিন্তু মনের জোর হারাইনি। অ্যাসিডে আক্রান্ত মেয়েদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসতে সাহায্য করি। আফসোস, আজও খোলাখুলি অ্যাসিড বিক্রি হয়। দোষীরা ধরা পড়ে না। সুবিচার পেতে লেগে যায় অনেক বছর,’’ বললেন সঞ্চয়িতা।