তেলুগু ছবি থেকে বলিউডে পাড়ি দেওয়ার পর মুম্বইয়ে একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছিলেন তাপসী পান্নু।
পরে সাফল্য ছুঁয়ে এই মুম্বইয়েই নিজের অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নেন। আর নিজের ইচ্ছামতো তাকে সাজিয়ে পরিণত করেছেন ‘সুইট হোম’-এ। সম্প্রতি অ্যাপার্টমেন্টের ইন্টিরিয়রের ছবি শেয়ারও করেছেন নায়িকা।
তাপসীর জন্ম ১৯৮৭ সালের ১ অগস্ট। দিল্লিবাসী এক শিখ ধর্মাবলম্বী পরিবারে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরে তিনি বেশ কিছু দিন চাকরি করেছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে আসেন।
২০১০ সালে তিনি প্রথম অভিনয় করেন তেলুগু ছবি ‘ঝুমান্ডি নাড়ম’-এ। এর পর দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় নায়িকা হয়ে ওঠেন। এর ৩ বছর পর ‘চশমে বদ্দুর’ ছবি দিয়ে আত্মপ্রকাশ হিন্দি ছবির জগতে।
‘নাম শাবানা’, ‘মুলক’, ‘বদলা’, ‘মনমর্জিয়াঁ’, ‘মিশন মঙ্গল’, ‘সাঁড় কী আঁখ’, ‘থাপ্পড়’ ছবির সুবাদে তাপসী তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ইতিমধ্যেই। ক্রিকেটার মিতালি রাজের বায়োপিক ‘সাবাশ মিতু’-তেও দেখা যাবে তাঁকে। অভিনয় করেছেন একাধিক শর্ট ফিল্মেও।
তাপসীর একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাও আছে। তাঁর বোন শগুন পন্নুও তাঁকে সাহায্য করেন ব্যবসার কাজে। মূলত বিয়ের পরিকল্পনা করে তাঁদের সংস্থা।
বোনের সঙ্গে মিলেই নিজের নতুন অ্যাপার্টমেন্টের ডিজাইন করেছেন তাপসী। ঘরের প্রতিটি কোনায় ভালবাসা ভরে দিয়েছেন তাঁরা।
‘মনমর্জিয়াঁ’ ফিল্মের শ্যুটিং করার সময় তাপসী বাইরে ছিলেন। সে সময়ই তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট নতুন রূপে সেজে উঠেছে।
আর সম্প্রতি ফের তাতে কিছু নতুন চমক নিয়ে এসেছেন তাপসী। সে সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন তিনি।
তাঁর ঘরের একটি দেওয়ালে ঝোলানো রয়েছে বড় বাইসাইকেল। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কারণ মূলধারাতে সাইকেল মাটিতে থাকে’। তাপসী বরাবরই একটু অন্য ধরনের ফিল্ম পছন্দ করেন। ক্যাপশন দিয়ে বোধ হয় তিনি সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
অন্য এক দেওয়ালে পিতলের বড় শো পিস ঝুলিয়ে রেখেছেন তিনি। ঘরের আর একটি দেওয়াল সেজে উঠেছে মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় ওয়ারলি আর্ট দিয়ে।
তাপসীর লিভিং রুমের সাদা ইটের দেওয়ালে রয়েছে একটি বিশালাকার ঘড়ি। ইউরোপীয় ঘরানার এই ঘড়ি ছবি তোলার জন্য আদর্শ।
অন্য একটি দেওয়াল সাজিয়েছেন নানা ছবি দিয়ে। চশমা, প্রজাপতির ঝাঁক, তারামাছ- এমন নানা ছবি রয়েছে সেখানে। রয়েছে পজিটিভ কিছু লেখাও।
ঘরে তাঁর অন্যতম প্রিয় জায়গা হল ব্যালকনি। মুম্বই শহরের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় ব্যালকনি থেকে। প্রাণবন্ত মুম্বইয়ের সঙ্গে মানানসই করে তাঁর ব্যালকনিও প্রাণে ভরা। প্রচুর গাছ রয়েছে এখানে। যেন জীবনের সব রং দিয়ে সেজে উঠেছে।
খাবার জায়গা তুলনামূলক ছোট। নানা রঙের কাঠের চেয়ার ও কাচের টেবিলের সঙ্গে রয়েছে তাপসীর প্রিয় কফি মেশিন এবং বাসনপত্র। ডাইনিং রুম ঠিক যেন কোনও কফি শপ।
তাপসী কফি খুব পছন্দ করেন। তাই ডাইনিং রুমে একটি প্রফেশনাল গ্রেড কফি মেশিন ইনস্টল করেছেন। দেশ-বিদেশ থেকে কফি বিনস আনা তাঁর নেশা।
তাঁর বেড রুমে বিছানার সঙ্গে সিঁড়ি রয়েছে। বিশ্রাম নিতে গেলে এই সিঁড়ি বেয়েই উঠতে হয় তাঁকে। কারণ ‘একটু আরামের জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন’। বিছানার ছবি শেয়ার করে এমন ক্যাপশন দিয়েছেন নিজেই।
আর তাপসীর অ্যাপার্টমেন্টের সবচেয়ে সুন্দর হল প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বারে নেম প্লেটের বদলে একটি পাখির লোগো লাগিয়েছেন। উচ্চাকাঙ্খার কথা মাথায় রেখেই এই লোগো।