ক্যাটরিনা কইফের বাড়ি এবং ভ্যানিটি ভ্যানের মধ্যে একটি বিষয় মিল রয়েছে। দু’টিরই বোহেমিয়ান রূপ। ক্যাটরিনা নিজের মুম্বইয়ের বাড়ির অন্দর যে ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন ঠিক একই ভাব বজায় রেখেছেন ভ্যানিটি ভ্যানেও।
কাঠের খাবার টেবিল থেকে শুরু করে ড্রেসিং রুমের ডিম্বাকার আয়না কিংবা ভ্যানিটি ভ্যানের মধ্যে থাকা রান্নাঘর— সব কিছুতেই একটি আলাদা রূপ দিয়েছেন ক্যাটরিনা। যা তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই।
ক্যাটরিনার ভ্যানিটি ভ্যানের নকশা করেছেন অন্দরসজ্জায় পারদর্শী দর্শিনি শাহ এবং আনাইতা শ্রফ। তাঁদের কথায়, ক্যাটরিনা সব সময়েই চিন্তামুক্ত এবং খুশিতে থাকতে ভালবাসেন। ভ্যানিটি ভ্যান অন্দরমহল এমনই করা হয়েছে যা মন ভাল করে দেবে।
সাদা রঙের দরজা ঠেলে ভ্যানের ভিতরে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়বে ড্রেসিং টেবিল এবং খাবারের জায়গা।
খাবারের জায়গার একপাশে রয়েছে রান্নাঘর। যার ঠিক সামনের দেওয়ালে সাদা রঙের খরগোশের ছবি আঁকা।
রান্নাঘরের ভিতরের রং সাদা রেখেছেন ক্যাটরিনা। তার দেওয়ালেও নানা প্রাণীর ছবি আঁকা রয়েছে।
এই ভ্যানিটি ভ্যানেই শ্যুটিংয়ের সময় তৈরি হন ক্যাটরিনা। শ্যুটিংয়ের সময় এখানেই বেশির ভাগ সময় কাটান তিনি। তাই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে ড্রেসিং রুমে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
খুব ছোট, সঙ্কীর্ণ অথচ যেন অনেকখানি ইতিবাচক তরঙ্গ খেলা করে খাবার ঘরে। যেখানে ঢুকলেই যেন মুহূর্তে সমস্ত ক্লান্তি চলে যায়। এই ঘরের সাজসজ্জা এমনই।
দেওয়াল জুড়ে রঙিন ছবি, গাছ, টিভি আর ছোট একটি কাঠের টেবিল নিয়ে সেজে উঠেছে খাবার ঘর। একসঙ্গে দু’জনে বসে খেতে পারবেন ওই টেবিলে।
ভ্যানিটি ভ্যানের সবচেয়ে রঙিন অঞ্চল এটিই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, তা সাজানো হরেক আঁকা দিয়ে এবং তার নীচে একজনের শোওয়ার মতো বিছানা। যার উপর সাজিয়ে রাখা সুন্দর কারুকার্য করা বালিশ এবং চাদর।
ভ্যানিটি ভ্যানের ভিতরের দেওয়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে টেরাকোটার কাজও। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে নিজেকে তরতাজা করে তোলার ঘর এটি।
ভ্যানিটি ভ্যানের শৌচাগারে রয়েছে বেসিন, তার উপরে লাগানো আয়না, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার তাক। এ ছাড়াও রয়েছে একাধিক সবুজ গাছ। ক্লান্তি কাটাতে প্রাণভরে যেন এখানে অক্সিজেন নেন তিনি।
অতিথিদের জন্য রয়েছে দু’টি আলাদা রঙিন বসার জায়গা। মাঝে মধ্যে ক্যাটরিনাও তাতে বসে পড়েন।
২০১৭ সালে ভ্যানটি তৈরি করা হযেছিল ক্যাটরিনার জন্য। নায়িকার মনের মতো গড়ে তুলতে সময় লেগেছিল আড়াই মাস।