রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ইউভান।
কেমন আছেন রাজ-শুভশ্রী? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ব্যারাকপুরের বিধায়কের সঙ্গে। কণ্ঠস্বর বলছে, সর্দিতে গলা ভার। রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড সর্দি। নাক দিয়ে জল গড়াচ্ছে। গলা ব্যথা। সারা শরীর ম্যাজম্যাজ করছে। তবে জ্বর নেই। কিন্তু স্বাদ চলে গিয়েছে মুখের। সদ্য জলবসন্ত থেকে ওঠার পরেই ফের অসুস্থতা। তাই শরীর ভালই দুর্বল।
একই অবস্থা শুভশ্রীরও। বিধায়কের দাবি, তাঁকে সারাক্ষণ লোকজনের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়। সেখান থেকেই কোনও ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন দুই আগে রাজ বারুইপুরে আইএনসিএ আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন কাঞ্চন মল্লিক, জুন মালিয়া-সহ তারকা-বিধায়কেরা।
২০২০-তে কোভিড হয়েছিল রাজ-শুভশ্রীর। করোনা কেড়েছে রাজের বাবাকেও। পরে তাঁরা প্রতিষেধকের দুটো ডোজই নিয়েছিলেন। তার পরেও আক্রান্ত তারকা দম্পতি। কিন্তু পরিবারের বাকিদের সুস্থতার সঙ্গে কোনও সমঝোতা নেই। তাই রাজ-পুত্র ইউভান আলাদা একটি ঘরে থাকছে। রাজের মা লীলা চক্রবর্তীও নাতির সঙ্গে নেই। তিনি থাকছেন অন্য ঘরে।
ছেলের কথা উঠতেই রাজ যেন আরও বিষণ্ণ। বললেন, ‘‘ইউভান খুবই লক্ষ্মী ছেলে। জন্মের পর থেকে সব রকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিচ্ছে। এখনও তাই। কিন্তু বড্ড ছোট তো! ছেলেকে দেখতে পাচ্ছি না বলে খুবই মনখারাপ করছে।’’
শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে ইদানীং মেপে খাওয়া শুরু করেছিলেন পরিচালক-বিধায়ক। আপাতত সে সবই ভুলেছেন। তাঁর শরীরের খবর নিতে প্রচুর ফোন আসছে। বিধায়কের দায়িত্ব, চলচ্চিত্র উৎসবের কাজের ভার তাঁর কাঁধে। রাজ বললেন, ‘‘কথা বলতে পারছি না। ফোন ধরতেও ইচ্ছে করছে না। আপাতত কয়েক দিন এ সব থেকে একটু দূরেই থাকব হয়তো।’’
করোনার কারণেই সোমবার শিশির মঞ্চে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবের সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। তবু তার মধ্যেই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছেন রাজ। অনুরাগীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘যতদূর জেনেছি, মার্চ মাসেই অতিমারির প্রকোপ কমবে। তত দিন পর্যন্ত ভিড় এড়ান। মাস্ক ছাড়া থাকবেন না। শরীরের যত্ন নিন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। ইতিবাচক মনোভাব রেখে মোকাবিলা করুন রোগের।’’ একই সঙ্গে তিনি সবাইকে প্রতিষেধক নেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন।