অগ্রহায়ণের হাল্কা শীতে টলিউডের বাতাসে নহবতের সুর। অভিনেত্রী জুন মাল্যর পরে এ বার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বিয়ে করলেন। নতুন জীবনে পা রাখলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলার হাত ধরে।
মিথিলা বাংলাদেশের অভিনেত্রী-মডেল-গায়িকা-সমাজকর্মী। সৃজিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ অনেক দিনের। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। শুক্রবার সৃজিতের দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাটে চার হাত এক হল। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন টালিগঞ্জের চেনা মুখ। একান্ত ঘনিষ্ঠদেরই নিমন্ত্রণ করেছিলেন সৃজিত।
ছিমছাম অনুষ্ঠানের সঙ্গে বর কনের সাজও ছিল মানানসই। সৃজিত পরেছিলেন লাল জহরকোট এবং লাল পাঞ্জাবি। মিথিলার পরনে ছিল লাল ঢাকাই জামদানি। কানে-হাতে-গলায়-কপালে সোনার হাল্কা গয়না। দু’হাতে ঘন মেহেন্দির প্রলেপ।
শুক্রবার সকালেই বাংলাদেশি দৈনিক ‘প্রথম আলো’কে মিথিলা জানিয়েছিলেন, বিয়ের সাজ, মেকআপ নিজেই করবেন তিনি। কিছু দিন আগে সৃজিত যখন ঢাকায় গিয়েছিলেন তখন হবু বরের জন্য অনেক কেনাকাটা সেরে নিয়েছিলেন মিথিলা।
এ বারেও নাকি কলকাতা আসার সময় বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ এনেছেন মিথিলার বাবা-মা। সঙ্গে এসেছে মিথিলার ছোট্ট মেয়ে আইরাও। বিয়ের অনুষ্ঠানে আইরা ছিল প্রধান আকর্ষণ।
বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কেউ বলছিলেন, আগামী বছরের শুরুতে বিয়ে করবেন তাঁরা। আবার কেউ কেউ বলছিলেন, বিয়ে করতে করতে সেই মার্চ। অবশেষে জল্পনার শেষ হল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রির আগে ইনস্টাগ্রামে মিথিলার জন্য কয়েকটা লাইন শেয়ার করে একটি ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। পোস্টে লেখা, ‘প্রথম আলোয় ফেরা, আঁধার পেরিয়ে এসে আমি অচেনা নদীর স্রোতে চেনা চেনা ঘাট দেখে নামি চেনা তবু চেনা নয়, এ ভাবেই স্রোত বয়ে যায় খোদার কসম জান, আমি ভালোবেসেছি তোমায়...।’
বছর পাঁচেক আগে মুক্তি পাওয়ায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জাতিস্মর’ ছবিতে এই গানটি গেয়েছিলেন কবীর সুমন। সেই ‘খোদা কসম জান’ গানই এ বার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল পরিচালকের নিজের জীবনেই।
পোস্টের সঙ্গে ছবিটিও বেশ অর্থবহ। সাদাকালো সে ছবিতে নদীর পাশে হাত ধরে দাঁড়িয়ে সৃজিত-মিথিলা। তাঁদের সামনে নদীর জলে চলছে ঢেউয়ের ভাঙাগড়া।
অব্যক্ত প্রেমের সাক্ষী সেই পোস্টে এসেছে অনুরাগীদের হাজারো কমেন্ট এবং শুভেচ্ছা বার্তা। পরে বিয়ের ছবিতেও এসেছে অজস্র শুভেচ্ছাবার্তা। টলিউডের এই সেলেব জুটির জীবনে নতুন যাত্রার সূচনায় অভিনন্দন জানিয়েছেন সবাই।