এখনও পর্যন্ত এসভিএফ তাদের পুজোর ছবি ঘোষণা করেনি। তবে শোনা যাচ্ছে সংস্থার প্রযোজনায় পুজোর জন্য একটি ছবি পরিচালনা করতে পারেন সৃজিত। — ফাইল চিত্র।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। একে একে পুজোর ছবির ঘোষণাও শুরু হয়েছে। আগামী শারদীয়ায় ‘বাঘাযতীন’ নিয়ে আসছেন দেব। অন্য দিকে মিমি চক্রবর্তী এবং আবির চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘রক্তবীজ’ নিয়ে আসছেন নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। মিতিন মাসি হয়ে কোয়েলকে আনছেন অরিন্দম শীল। এখনও পর্যন্ত টলিপাড়ার প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ তাদের পুজোর ছবি ঘোষণা করেনি। তবে শোনা যাচ্ছে সংস্থার প্রযোজনায় পুজোর জন্য একটি ছবি পরিচালনা করতে পারেন সৃজিত।
পুজোয় সৃজিতের শেষ ছবি ছিল ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গুমনামি’। তার আগে অবশ্য সৃজিত পরিচালিত ‘ইয়েতি অভিযান’ এবং ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবি দুটি পুজোতেই মুক্তি পেয়েছিল। ৩ বছর পর আরও এক বার শারদীয়াকেই ‘পাখির চোখ’ করতে চলেছেন সৃজিত। অন্তত টলিপাড়ার গুঞ্জন সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। একটি সূত্রের মতে, পুজোর ছবির জন্য পরিচালক নাকি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ছবির পরিকল্পনা করছেন। প্রসেনজিতের কাছে প্রস্তাব গেলেও এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি বলেই খবর। উল্লেখ্য, গত বছর শারদীয়ায় মুক্তি পেয়েছিল প্রসেনজিৎ অভিনীত ছবি ‘কাছের মানুষ’।
এই মুহূর্তে সৃজিত হিন্দিতে শার্লক হোমস পরিচালনার কাজে ব্যস্ত। হইচই-এর জন্য ‘দুর্গরহস্য’ অবলম্বনে ব্যোমকেশ সিরিজ়ও পরিচালনা করার কথা তাঁর। সম্প্রতি সিরিজ়ের রেইকি সারার ইঙ্গিতও সমাজমাধ্যমে দিয়েছিলেন সৃজিত। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ব্যোমকেশের কাজ শুরু করবেন না তিনি। পরিবর্তে পুজোর ছবির প্রস্তুতি শুরু করতে চান ‘শের দিল’-এর পরিচালক। অন্য দিকে সম্প্রতি এসভিএফ-এর অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনির একটি টুইটে টলিপাড়ায় জল্পনা ছড়ায়। সৃজিতের সঙ্গে রাজ চক্রবর্তীর একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। একটি সূত্রের দাবি, রাজ এবং সৃজিত দুই পরিচালকই পুজোয় ছবি নিয়ে আসতে চলেছেন। আবার এ রকমও শোনা যাচ্ছে যে, সৃজিতের লেখা একটি চিত্রনাট্য অবলম্বনে ছবি পরিচালনা করবেন রাজ।
বিগত দু’বছরে এসভিএফ-এর অধীনে পুজোয় ছবি পরিচালনা করেছিলেন ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালক নিয়ে এসেছিলেন যথাক্রমে ‘গোলন্দাজ’ এবং ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’। এ বার কি তা হলে সৃজিতের পালা? উত্তর পাওয়া যাবে তাড়াতাড়ি।