পঙ্কজের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি অনিন্দ্য, ‘করক সিংহ’ ছবির সেটে। ছবি: ফেসবুক।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক্স ইকুয়্যালস টু’ প্রেম ছবির মুখ্য চরিত্র খিলাত। একেবারে প্রেমিক মানুষ। অন্য দিকে, একই পরিচালকের ‘শেরদিল’ ছবির সাহসী মুখ্য চরিত্র গঙ্গু। কথা হচ্ছে, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও পঙ্কজ ত্রিপাঠীর। এক জনের সদ্য অভিষেক হয়েছে বড় পর্দায়। অন্য জন পরিচিত, তাঁর অভিনয় সিনেপ্রেমীদের মধ্যে সমাদৃত। এখনও পর্যন্ত দুটি ছবি ও একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন অনিন্দ্য। তার মাঝেই হিন্দি ছবির প্রস্তাব। পঙ্কজ ত্রিপাঠী, জয়া আহসান অভিনীত ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অনিন্দ্যকে। ছবির নাম ‘করক সিংহ’। এই ছবির মাধ্যমে হিন্দি ছবিতে অভিষেক ঘটতে চলেছে ‘খোলামকুচি’-র নায়কের। তবে প্রথম হিন্দি ছবিতেই পঙ্কজের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন অনিন্দ্য।
পঙ্কজ ত্রিপাঠী অভিনয়ের ভক্ত নন এমন সিনেপ্রেমী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনিন্দ্যর কথায় ফ্যান বয় মুহূর্ত। চার দিন একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। সিন একটাই। তবে শেষ দিন ছবি তোলার আবদারটা করেই বসলেন। অনিন্দ্যর কথায়, ‘‘পঙ্কজজি একেবারে মাটির মানুষ, এত বড় তারকা, কিন্তু বাড়তি কোনও অহঙ্কার নেই। শুধু থাকেন কিছু বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী। সেটা একেবারেই তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে।’’
এত দিনে সকলেরই প্রায় জানা বাংলার জামাই তিনি। স্ত্রী মৃদুলা যে কলকাতার মেয়ে। বাংলা বেশ ভাল বোঝেন। সেটে কি স্ত্রীর মাতৃভাষাতেই চলেছে কথোপথন? নাহ, অনিন্দ্যর কথায়,‘‘আমি নিজের হিন্দিটা ভাল করতে কথাবার্তা চলত হিন্দিতেই।’’
এই ছবি করার সময় কিছু কি প্রাপ্তি হল? অভিনেতা বলেন, ‘‘প্রতিদিন প্রায় শ’খানেক মানুষ পঙ্কজজির সঙ্গে ছবি তুলতে আসছেন। সেখানে দশ-পনেরো জন আমার সঙ্গেও ছবি তুলছেন— সেটা পাওনা। যেখানে আমি নিজেই ওঁর সঙ্গে ছবি তুলতে আগ্রহী। তবে ওঁর কাছে শেখার যে, অন্য অভিনেতাদের কী অসম্ভব সহযোগিতা করেন উনি যে কোনও দৃশ্যে।’’ আপাতত অল্প সময়ের জন্য কাজ হলেও ভবিষ্যতে ইচ্ছে রয়েছে আরও কাজ করার। সব ভাষাতেই স্বচ্ছন্দ অনিন্দ্য। বাংলা ভাষায় কাজ করাটাই যে অগ্রাধিকার, সদর্পে জানান অভিনেতা।