Sreemoye Chattaraj

Kanchan-Sreemoyee: দোহাই পিঙ্কিদি আমার সঙ্গে কথা বলো, লজ্জায় ঘেন্নায় আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছে

কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে গুজব ছড়ানোর পর থেকেই বদলে গিয়েছেন পিঙ্কিদি। এর আগে আমার সঙ্গে কিন্তু ভীষণ ভাল ভাবে কথা বলতেন।

Advertisement

শ্রীময়ী চট্টরাজ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ১৬:৩৬
Share:

শ্রীময়ী চট্টরাজ এবং পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমি তাজ্জব সব শুনে। পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি নিউ আলিপুর থানায় আমার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কেন? জানি না। এত নোংরামি কেন করছেন উনি? আমায় হুমকি দিচ্ছেন, কত তৃণমূলের দাদা আছে আমিও দেখে নেব! উল্টে আমার নামে মিথ্যে অপবাদ ছড়াচ্ছেন, আমি নাকি ওঁকে শাসিয়েছি। সমস্ত দেখেশুনে মনে হচ্ছে, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত প্রচারের আলো টানতে এখন আমায় আর কাঞ্চন মল্লিককে জড়িয়ে এই নোংরা খেলায় মেতেছেন। পাশাপাশি, লজ্জায়, ঘেন্নায় আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছে। গত কাল আমি নিজে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি। উনি ফোন কেটে দিচ্ছেন। আজ আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে ওঁকে জানাচ্ছি, দোহাই পিঙ্কিদি, কথা বলো, এ ভাবে নিজের মনগড়া কাহিনি সব জায়গায় বলে প্রচারের আলো টেনো না। আমিও মেয়ে। আমারও পরিচিতি আছে। আমায় কেন এ ভাবে অকারণে কলঙ্কিত করছ?

কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে গুজব ছড়ানোর পর থেকেই বদলে গিয়েছেন পিঙ্কিদি। বিশ্বাস করুন, এর আগে আমার সঙ্গে কিন্তু ভীষণ ভাল ভাবে কথা বলতেন। কাজের জন্য ছেলেকে নিয়ে পিঙ্কিদি বরাবরই চেতলায় মা-বাবার কাছে থাকেন। আমি বেশ কয়েকবার ওঁর বাবার বাড়িতে গিয়েছি। সেখানে উনি আমায় কথায় কথায় এও বলেছিলেন, আমরা কাজের সূত্রে দূরে দূরে থাকি। আমারও তো একা, ফাঁকা লাগতে পারে!

সেই সূত্রেই বলছি, এর আগে আনন্দবাজার অনলাইন এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের কাছে পিঙ্কিদি বলেছেন ২ প্রাপ্তবয়স্কের প্রেম নিয়ে ওঁর কিছু বলার নেই। এ ভাবেই ঘুরিয়ে কি পিঙ্কিদি কাঞ্চনদার সঙ্গে আমার স্নেহের সম্পর্ককে পরকীয়ার তকমা দিয়ে দিলেন? আমি বলব, পিঙ্কিদির ভেবেচিন্তে এই মন্তব্য করা উচিত ছিল। আমি পরকীয়া পছন্দ করি কি না সেটা এক বারও জানার চেষ্টা করেছেন? কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের নাতনি এক বারের জন্যও সেটা জানার চেষ্টা করেননি। আমি যদি কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে নিজেকে জড়াতেই চাইব তা হলে ভাল ভাবে জড়াব। এ ভাবে পরকীয়া করে নয়। কেন আমি ওঁদের সংসারে আগুন লাগাতে যাব? পিঙ্কিদির কথা অনুযায়ী, ওঁর সঙ্গে হৃদ্যতা না থাক তিক্ততাও তো নেই আমার!

Advertisement

এ বার আসি পিঙ্কিদির পরের অভিযোগে। আমি আর কাঞ্চনদা নাকি মায়াপুর থেকে ঘুরে এসে ওঁকে সব জানিয়েছি। হ্যাঁ, আমরা মায়াপুরে গিয়েছিলাম। কল শো ছিল আমাদের। ফিরে এসে পিঙ্কিদির বাড়ি গিয়েছিলাম। ছবি দেখিয়ে বলেছিলাম, খুব সুন্দর জায়গা। আমাদের থাকাও হল না। পুজোও দেওয়া হল না। পিঙ্কিদি, তোমার আর আমার পরিবার মিলে এক বার বেড়াতে যাবে মায়াপুরে? শুনে পিঙ্কিদির বাবা এক কথায় রাজি। পিঙ্কিদি সে দিন মুখের উপরে বলেছিলেন, আপাতত অর্থ উপার্জন ছাড়া আমার অন্য কোনও চিন্তা নেই। এখন কোথাও যাব না। আমরা লুকিয়ে বেড়াতে গেলে সেখান থেকে ফিরে নিজেরাই ছবি দেখাব! পিঙ্কিদির কথা অনুযায়ী, গত ৭-৮ বছর ধরে নাকি ওঁদের সম্পর্ক তেতো। এত দিন ধরে আমি কাঞ্চনদার সঙ্গে থাকলাম কেউ টের পেল না! ৭-৮ বছর পরে সেটা খবর হয়ে রটছে? কী বলতে চাইছেন পিঙ্কিদি? সংবাদমাধ্যম এত বোকা?

পিঙ্কিদি আবারও বলছি, মিথ্যে খবরে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। আলোচনায় বসলে আবার সব মিটে যায়। আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই। তুমিও আমার ডাকে সাড়া দাও। আমার উপরে যদি কোনও কারণে অভিমান হয়ে থাকে জানাও। তুমি বলেছ, কাজের অভাব তোমার। ছেলে, তুমি কী ভাবে আছ খোঁজ নিইনি তার। তুমিও কি আমার খোঁজ নিয়েছ পিঙ্কিদি? লকডাউনে কারওর কাজ নেই। আমি দায়িত্ব নিয়ে আবারও বলছি, তুমি কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী, কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাতনি। তোমার ঠিক চলে যাবে। আমার কী হবে? তোমার দু’দুটো মেরুদণ্ড আছে। আমায় কিন্তু একার লড়াই লড়তে হচ্ছে। আমার পরিবার হতবাক তোমার থেকে এই ধরনের নোংরা অভিযোগ শুনে। বয়স্ক দাদু-ঠাকুমা, মা-বাবা আছেন আমার। কারওর কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। তাই আবারও অনুরোধ, নিজে ভাল ভাবে বাঁচ। আমাকেও বাঁচতে দাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement